চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একই রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দাকাতদল বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বাড়ি থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার (২৬ মে) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর দুই ছেলে আতিয়ার রহমান (৪৫) ও আনোয়ার হোসেন (৫২)-এর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই এলাকা থেকে তিনটি বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে।
দামুড়হুদা থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গৃহকর্তা আনোয়ার হোসেন ও আতিয়ার রহমান জানান, গত রবিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে একই বাড়ির ভেতরে বড় ভাই আতিয়ার রহমানের ঘরে মুখোশ পরিহিত তিনজন প্রবেশ করে। তারা আতিয়ারসহ তার বাড়ির লোকজনকে দেশীয় অস্ত্র ধারালো হাসুয়া তাদের গলাই ধরে তাদের চোখ ও হাত বেঁধে ঘরে থাকা ৫২ হাজার নগদ টাকা ও লুট করে।
পরে একই বাড়ির ভেতরে তাকে সঙ্গে নিয়ে তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনের ঘরের দরজায় গিয়ে তাকে দিয়ে তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেনকে ডাকায়।
আনোয়ার হোসেন ঘরের দরজা খুললে আরো তিনজন মুখোশ পরিহিত ডাকাত তার ও তার স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র-হাঁসুয়া ধরে তাদেও চোখ-মুখ বেঁধে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও একটি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে বাড়ির মেইন গেট খুলে নির্বিঘ্নে চলে যায়। রাতেই থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাড়ির প্রায় ১০০ গজ দুর পিচ সড়কের ওপর থেকে ২টি লাল স্কসটেপ দিয়ে বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা ডিবির ওসি মশিউর রহমান, ওসি সাইবার ক্রাইম আনিছুর রহমান, এসআই মুহিত হাসান, এসআই রমেন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ সময় ডাকাতি হওয়া বাড়ির আনুমানিক ১০০ গজ দূর পাকা রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে আরো একটি বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।
এসএম/এসএন