আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করল আপিল বিভাগ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, বস্তুগত প্রমাণ এবং দাখিল করা আইনি যুক্তিতর্ক পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্মূল্যায়নের পর, আপিল বিভাগ বিবেচনা করছে যে, এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করা ছিল ফৌজদারি আইনশাস্ত্রের মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা, যার ফলে ন্যায়বিচারের চরম অবহেলা ঘটেছে।

এছাড়া, আপিল বিভাগ এ টি এম আজহারুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সম্পর্কিত প্রমাণ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে তার পূর্বের ব্যর্থতা স্বীকার করছে। এই মৌলিক নীতিগুলো মেনে চলতে ব্যর্থতার ফলে ন্যায়বিচারের প্রতি চরম অবজ্ঞা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ ৭ বিচারপতির স্বাক্ষরের ৩ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

বেঞ্চের অন্য ৬ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি ইমদাদুল হক, বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

সংক্ষিপ্ত রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, আদালত বিচারিক দায়িত্বের গভীর বোধের সঙ্গে স্বীকার করেন যে, তার পূর্ববর্তী রায়ে, তারা এ টি এম আজহারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ ও তাকে দোষী হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায়টি দুঃখজনকভাবে এতো গুরুতর প্রকৃতির ফৌজদারি কার্যধারায় যাচাই-বাছাই এবং ন্যায্যতার উচ্চমান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেন, আপিল বিভাগ আরও দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করেন যে, আগের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট এবং রাষ্ট্রপক্ষের মামলার অন্তর্নিহিত প্রমাণের দুর্বলতাগুলোর প্রতি যথাযথ বিবেচনা করা হয়নি। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্তকরণ এবং তার সাজা বহাল রাখা সম্ভব নয়।

আদালত আরও বলেন, আপিলকারী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস ও অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হৃদরোগ সচেতনতা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি : ডা. জুবাইদা রহমান May 31, 2025
img
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু শনিবার May 31, 2025
img
৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, স্বীকার করলেন বিজেপি নেতা! May 31, 2025
img
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশ নির্বাচন পন্টিংয়ের May 31, 2025
img
রাজধানীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর May 31, 2025
img
আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য করছি, নির্বাচন চাইতেই পারি : টুকু May 31, 2025
img
বান্দরবানে টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা May 31, 2025
img
দেশের সব উন্নয়ন ও সফলতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম: ডা. জাহিদ হোসেন May 31, 2025
img
আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতির নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান : ডা. জাহিদ হোসেন May 31, 2025
img
ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে ধরা বিমানের কেবিন ক্রু May 31, 2025
img
ঝিনাইদহ সীমান্তে ১০ জনকে পুশইন করল বিএসএফ May 31, 2025
img
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কারণে কঠিন সময়ে টিকে থাকা সম্ভব হয়েছে : ড. ইউনূস May 31, 2025
img
কোনো কারণে যদি আওয়ামী লীগ পুনবার্সিত হয় তাহলে সেই দায় বর্তমান সরকারকে নিতে হবে: খোকন May 31, 2025
img
জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না: মুঞ্জু May 31, 2025
হঠাৎ কী হয়েছিল ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের? বিবৃতি থেকে যা জানা গেল May 31, 2025
যে কারণে উপদেষ্টা নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি May 31, 2025
img
'যারা বলেন ডেট না দিলে আমরাই ডেট দিব, তারা ভবিষ্যতে বলবে বিজয় ঘোষণা না করলে আমরাই করবো' May 31, 2025
জেলে বসেও মাছ-মাংস আর টিভি নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন সালমান পলকরা May 31, 2025
img
হোয়াইট হাউজে ইলন মাস্কের সম্মানে ট্রাম্পের ‘বিদায় সংবর্ধনা’ May 31, 2025
img
রাজধানীতে ৮২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা May 31, 2025