সরকারি চাকরিতে জবাবদিহি, শৃঙ্খলা ও কর্মদায়িত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের জারি করা অধ্যাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত উদ্যোগ। একই সঙ্গে ইতিবাচক বলে মনে করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে মামুনুল হক ও জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো একটি দীর্ঘদিনের অনিয়ম, জবাবদিহিহীনতা ও জনসেবা বিচ্যুতির শিকার। এই বাস্তবতায় আমরা বিশ্বাস করি, একটি সুশাসিত রাষ্ট্রের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা, যোগ্যতা ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য। সেই লক্ষ্যেই প্রশাসনিক কাঠামোতে কিছু যুগোপযোগী সংস্কার প্রয়োজন ছিল। সরকার সে উদ্যোগ নিয়েছে, যা নীতিগতভাবে ইতিবাচক। তবে একই সঙ্গে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে একটানা কর্মবিরতি ও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।সচিবালয়ের কর্মক্ষমতা বন্ধ হওয়া মানে পুরো রাষ্ট্রীয় মেশিনারির অঙ্গহানির মতো ঘটনা।’
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ‘আপনারা জনগণের প্রত্যাশা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিন। এই অচলাবস্থা থেকে সরে এসে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিন। একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহকেও আমরা আহ্বান জানাই, নিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো আমলে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছান। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, রাষ্ট্রের অগ্রগতির পথে প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও বাস্তবসম্মত। সরকারি অফিস ও দপ্তরে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই ন্যায্যতার পথ নয়। কর্মচারীদের ন্যায্য অভিমত রাষ্ট্র সম্মান করবে, তবে তাদেরও উচিত হবে নিয়মতান্ত্রিক পথ গ্রহণ।’
আরআর/এসএন