গাজায় ইসরাইলি ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি বিতর্কিত সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ছুটে আসা মানুষের উপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাফায় এ ঘটনা ঘটে।
গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে এই ভয়াবহ ঘটনায় ৪৬ জন আহত এবং সাতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এই উদ্যোগ নেয়া সাহায্যকারী গোষ্ঠী, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) এই প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছেন, তাদের সৈন্যরা বিতরণ স্থানের বাইরের এলাকায় সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে সেখানকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই ঘটনাটির জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলো তীব্র সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র জিএইচএফের সাহায্য কেন্দ্রের ছবি এবং ভিডিওগুলো দেখে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস রাফায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।
অফিসটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই এলাকাগুলোতে বা তার আশেপাশে অবস্থানরত দখলদার বাহিনী ক্ষুধার্ত বেসামরিক নাগরিকদের উপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে। যাদের সাহায্য দেয়ার ভান করে এই স্থানগুলোতে নিয়ে আসা হয়েছিল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আজ রাফায় যা ঘটেছে তা একটি ইচ্ছাকৃত গণহত্যা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ। যা ৯০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরোধের কারণে দুর্বল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ঠান্ডা মাথায় ঘটানো হয়েছে।’
এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জিএইচএফ এলাকায় বিশৃঙ্খলার কথা স্বীকার করেছেন, কিন্তু বলেছেন যে এই এটি একটি ছোট ঘটনা ছিল।
নেতানিয়াহু আরও দাবি করেন, ‘গাজা উপত্যকায় অপুষ্টির কোনও প্রমাণ নেই। বলেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আপনি একজনও, একজনও ক্ষীণকায় মানুষ দেখতে পাবেন না।’
এসএম/টিএ