প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলা বরাবরই কঠিন। গ্যালারির প্রায় পুরোটা যখন কোনো দলের বিপক্ষে, সেটা স্নায়ুচাপ তৈরি করে খেলোয়াড়দের মাঝে। তবে চলতি আসরের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু যেন একেবারেই ভিন্ন ধাঁচে গড়া এক দল।
এবারের আসরে প্রতিপক্ষের মাঠে একের পর এক ম্যাচ জিতে এসেছে রজত পতিদারের দল। ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭ বারই শেষ হাসি হেসেছে তারা। যেটা জায়গা করে নিয়েছে আইপিএলের সর্বকালের রেকর্ডেও। সবশেষ তারা জিতেছে লখনৌর মাঠে গিয়ে।
এটি এই আসরে তাদের ৭ম জয়।
আইপিএলের এক মৌসুমে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে লিগপর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ডে যৌথভাবে উঠে এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের নাম। ২০১২ আসরে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা ৭ ম্যাচ জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। একই বছর প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৭ জয় এনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও। ১৩ বছর পর আবার হলো সেই রেকর্ড।
এক আইপিএলে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি জয়
৭ - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (২০২৫)
৭ - কলকাতা নাইট রাউডার্স (২০১২)
৭ - মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (২০১২)
এর আগে ২০২৪ আসর থেকে শুরু করে চলতি ২০২৫ পর্যন্ত লিগ পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে টানা ৯ জয় পাওয়ার রেকর্ড করেছিল ব্যাঙ্গালুরু। কলকাতার আছে টানা ৭ জয়। ৬ জয় আছে রাজস্থান রয়্যালসের নামের পাশে। চলতি আসরে প্রতিপক্ষের মাঠে কেবল এক ম্যাচেই হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ২৩ মে তারিখের ম্যাচে তারা হেরেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে।
আর নিজেদের শেষ ম্যাচ ছিল গতকাল লখনৌর বিপক্ষে। বেঙ্গালুরু জিতলে কোয়ালিফায়ার, হারলে এলিমিনেটর। আর তাদের হার-জিতের ওপর নির্ভর করবে গুজরাট টাইটান্সের ভাগ্য। এমন সমীকরণের ম্যাচে লখনৌ স্কোরবোর্ডে তুলল ২২৭ রান।
পুরো আসরে ব্যাটিং নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে ছিলেন রিশাভ পান্ত। একদম শেষ ম্যাচে এসে তিনিই পেলেন সেঞ্চুরি।
জবাবে শুরুতে বিরাট কোহলির ফিফটি আর পরে জীতেশ শর্মার ৩৩ বলে ৮৫ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু। ম্যাচ তারা জিতে নেয় ৮ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে।
আরআর/টিএ