নিঝুমদ্বীপে নামাজরত বৃদ্ধাকে হত্যা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নামাজরত অবস্থায় আমেনা বেগম (৪৫) নামের এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।বুধবার (২৮ মে) রাত ৮টার দিকে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার পর ঘাতকরা তার মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে রেখে যায়।
নিহত আমেনা বেগম নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপরের বাজার এলাকার এমরান মাঝির স্ত্রী।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে আমেনা বেগম নিজ ঘরে এশার নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত এক বা একাধিক হামলাকারী ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ টেনে-হিঁচড়ে পাশের পুকুরে ফেলে রেখে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৃদ্ধার স্বামী বাড়ি ফিরে এসে দরজা খোলা এবং ঘরের ভেতরে রক্ত দেখতে পান।

পরে তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয়রা পুকুরে ভাসমান অবস্থায় আমেনা বেগমের মরদেহ দেখতে পান। এরপর এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিহতের স্বামী এমরান মাঝি বলেন, আমার স্ত্রীর কোনো শত্রু ছিল না। আমারও কোনো শত্রু ছিল না। সে খুব সহজ-সরল জীবনযাপন করত। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে তাকে হত্যা করল, বুঝতে পারছি না।
 
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল মোমিন বাবলু বলেন, এমন ঘটনা নিঝুমদ্বীপের ইতিহাসে ঘটেনি। আমরা খুবই অবাক হয়েছি। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বৃদ্ধার জায়নামাজের পাশে কোরআন শরীফ পড়ে আছে। সম্ভবত নামাজরত অবস্থায় তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘাতকদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামীর অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এমআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কমিটিতে থাকতে পারবে না: সারজিস আলম Nov 15, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত ২ গ্রুপের সংঘর্ষ Nov 15, 2025
img
দাদাগিরি বন্ধ করে ভারতকে বন্ধুসুলভ আচরণের আহ্বান মির্জা ফখরুলের Nov 15, 2025
img
নিশোকে ঘিরে রহস্যের সমাধান, নতুন মুখ হামজা Nov 15, 2025
img
মাত্র ২৮ দিনের মাথায় মাদারীপুরের ডিসি পরিবর্তন, নতুন দায়িত্বে জাহাঙ্গীর আলম Nov 15, 2025
img
বিএনপির কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ না: সাদ্দাম Nov 15, 2025
img
বিস্ফোরণে পুড়ল আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের বাড়ি Nov 15, 2025
img
আশরাফুল হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল র‍্যাব Nov 15, 2025
img
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে যাচ্ছে: আর মাধবন Nov 15, 2025
img
১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো নির্বাচন হলে জাতির চরম দুর্ভোগ হবে: গোলাম পরওয়ার Nov 15, 2025
img
মামদানির প্রশাসনে যোগ দিতে ৫০ হাজারের বেশি আবেদন Nov 15, 2025
img
বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাতেই সম্পর্কের দৃঢ়তা: রণবীর Nov 15, 2025
img
আগামী পাঁচদিন যেমন থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি Nov 15, 2025
img
গুরুতর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন শুবমান গিল Nov 15, 2025
img
আমি অন্য কারও মতো হতে চাই না: শ্রেয়া ঘোষাল Nov 15, 2025
img
‘সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল না’, সিএনএন-নিউজ এইটিনকে হাসিনা Nov 15, 2025
img
একটি দল ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে : জসিম উদ্দিন Nov 15, 2025
img
শুরু হলো ফারিণের জীবনের নতুন অধ্যায়! Nov 15, 2025
img
জীবনটাই এক ধরণের ‘ছেড়ে দেওয়ার’ অনুশীলন: ইরফান খান Nov 15, 2025
img
ইতিহাস বিকৃতি এই দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না : সোহেল তাজ Nov 15, 2025