যশ ও নুসরাতের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে বলে গুঞ্জন চলছে। সত্যিই কি এই তারকা জুটির বিচ্ছেদ নিকটবর্তী? যদিও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের ছবি ‘লাইক’ করছেন, তবুও জল্পনা থামছে না। এমন পরিস্থিতিতে নুসরাত জাহানের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গেছে কয়েকটি জীবনদর্শনমূলক পোস্ট, যার একটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী মানুষের সিদ্ধান্তও বদলে যায়।’
গত বুধবার (২৮ মে) থেকে টলিপাড়া গুঞ্জনে ভরে উঠেছে, কারণ যশ দাশগুপ্ত ও নুসরাত জাহান একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করছেন না—নেটিজেনদের এই খোঁজ থেকেই শুরু হয়েছে বিচ্ছেদের আলোচনা।
সেই জল্পনাযজ্ঞে আবার ঘৃতাহূতি দেয় তাদের আলাদা ঘুরতে যাওয়ার খবর। মা-বাবা, বোন এবং ছেলে ঈশানকে নিয়ে নুসরাত গিয়েছিলেন দার্জিলিং বেড়াতে। শৈলশহর থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে জানান দিয়েছিলেন. তিনি সময়টা বেশ উপভোগ করছেন।
আর যশ তার প্রথমপক্ষের ছেলে রায়াংশকে নিয়ে গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে বেড়াতে। কিন্তু এমন আবহেই মাঝেমধ্যে অভিনেত্রীর ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করা একাধিক পোস্টে মনখারাপের আভাস। সেখানে কখনও মাতৃত্বের পাঠ দেওয়া পোস্ট শেয়ার করেন আবার কখনও বা তার পোস্টে থাকে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা।
বুধবার আরও একবার তার ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করা আধ্যাত্মিক ভিডিওতে ফুটে উঠেছে, মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মনস্তত্ত্বিক পাঠ।
যেখানে এক ধর্মগুরুকে বলতে শোনা যায়, “মানুষও পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে। চায়ের কাপে মাছি পড়লে চা ফেলে দেয়। তবে ঘি-তে মাছি পড়লে তখন কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলে যায়। তখন আর ঘি ফেলে দেয় না মানুষ, তার পরিবর্তে মাছিটাকেই উঠিয়ে ফেলে দেয়।”
মুহুর্মুহু নুসরাতের এহেন জীবন দর্শনমূলক পোস্টে নেটপাড়াতেও শোরগোল।
অনুরাগীরা যখন ঝড় শান্ত হওয়ার অপেক্ষায়, তখন একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, ‘তাহলে কি যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হতে চলেছে?’
দিন কয়েক আগেও গীতার বাণী শেয়ার করেছিলেন নুসরাত জাহান। যেখানে লেখাছিল- ‘সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।’ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘সকল ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ করো।'
সেই পোস্টেই সংযোজন, ‘যা কিছু তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেখানে সমপর্ণ করো। এটা জীবনে শান্তি আর স্বাধীনতা এনে দেয়।’
যাবতীয় বিষয় ক্রমানুসারে রেখে দুয়ে দুয়ে চার করে একাংশের অনুমান, তারকা জুটির সম্পর্কে হয়তো ফাটল ধরেছে। তাদের রসায়ন আর আগের মতো নেই! আদৌ কি তাই? জল্পনা বাড়তেই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন যশ দাশগুপ্ত।
অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ভুয়া খবর ঘুরছে। সবটাই গুজব। যশের দাবি, নুসরাত জাহানের সঙ্গে কোনও সমস্যাই হয়নি তার। ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করার বিষয়টি নিয়ে যশ জানান, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই তার প্রোফাইল থেকে নুসরাতকে ফলো করা যাচ্ছে না।
আর তার মাঝে বিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে উঠতেই অভিনেতার রসিক উত্তর, “কেন নুসরাতের অ্যাকাউন্ট ফলো করা যাচ্ছে না, সেটা জানতে হলে মার্ক জুকারবার্গকে জিজ্ঞেস করতে হবে।” যদিও শোরগোল হওয়ার পর দুজনেই একে-অপরের ঘুরতে যাওয়ার ছবিতে ‘লাইক’ করেছেন।
আরএ/টিএ