ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ ট্রেন ব্যবস্থাপনার দ্বিতীয় দিনে (রোববার, ১ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে তিনটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়েছে। সিডিউল বোর্ড অনুযায়ী, আরও দুটি ট্রেন বিলম্বে ছাড়বে বলেও জানা গেছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, রংপুরগামী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ২০ মিনিট দেরিতে, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায়।
এরপর বিলম্বিত হয় সিলেটগামী জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭) ও তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫)। জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে ছিল। যার ফলে ট্রেনটি অন্তত ৪৫ মিনিট বিলম্বে রয়েছে।
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসও বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মেই অবস্থান করছিল, যা অন্তত ৩০ মিনিট বিলম্বে রয়েছে।
তবে এই দুই ট্রেন কখন ছাড়বে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০২) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী এটি দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে, ফলে এটি ৩৫ মিনিট বিলম্বিত হবে।
আর সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও সেটিকে সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে দুপুর ৪টা ১০ মিনিটে। ফলে ট্রেনটিতে এক ঘণ্টা ৫ মিনিট বিলম্ব হবে।
জয়ন্তীকা এক্সপ্রেসের যাত্রী রাকিব হাসান বলেন, গতকাল সব ট্রেন সময়মতো ছেড়েছে বলে দেখেছি। কিন্তু আজ আমি ট্রেনে উঠে ৩০ মিনিট ধরে বসে আছি। কি জন্য দেরি হচ্ছে সেটা কেউ বলতে পারছে না। ট্রেনে বিদ্যুৎও নেই, গরমে খুব বিরক্ত লাগছে।
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রী ফজলে রাব্বি বলেন, ঘোষণা ছাড়াই ট্রেনে বসে আছি ৪৫ মিনিট ধরে। এখানেই যদি এত দেরি হয়, পুরো যাত্রায় কত সময় লাগবে বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয় আজ থেকেই ট্রেনগুলো একে একে দেরি করতে শুরু করবে।
এ বিষয়ে ঢাকায় রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মো. সাজেদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, ঢাকা থেকে বেশিরভাগ ট্রেনেই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। দু একটি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসকে যে ইঞ্জিন টেনে নেওয়ার কথা ছিল সেটিতে ত্রুটি হয়েছে। ত্রুটি মেরামত করা হলে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে।
আরএ/এসএন