সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে সপ্তাহজুড়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন এক সপ্তাহে কমেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
সাপ্তাহিক হিসাবে ডিএসইর বাজার মূলধনে ০.৩২ শতাংশ হ্রাস দেখা গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকায়, যেখানে আগের সপ্তাহ শেষে তা ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৭.২০ পয়েন্ট বা ৩.০৮ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪৭.৪৭ পয়েন্ট বা ২.৬৭ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৫.৫৪ পয়েন্ট বা ৩.৩৯ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১৪০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ৮.১৬ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ২.৪৯ শতাংশ ও ২.৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০৫১.৭৯ পয়েন্টে ও ৭৯৬৫.০৭ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৩.০১ শতাংশ ও সিএসই-৩০ সূচক ৩.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০০৬.৪৫ পয়েন্টে ও ১১০২৯.৭৫ পয়েন্টে। আর সিএসআই সূচক কমেছে ১.৮২ শতাংশ। সূচকটি অবস্থান করছে ৮৪৬.০৬ পয়েন্টে।
চলতি সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির কোম্পানির শেয়ার দর।
আরএ/টিএ