চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় মসজিদপাড়ায় যুবলীগ নেতা রাসেলের বাড়ির রান্নাঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে। এতে গুরুতর আহত হয় রাসেলের খালাতো ভাই সিহাব (১৫)।
আহত অবস্থায় সিহাবকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে, এ ঘটনার পরই পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা), জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমানসহ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এটি বোমা নাকি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বলতে পারেনি।
ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা বলছেন, প্রাথমিক আলামত দেখে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ মনে হয়নি। বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিহাব ও তার খালা (রাসেলের মা) বাড়ির দোতলা বাড়ির ছাদের রান্নাঘরে যান। সেখানে টিনের চালে থাকা একটি ব্যাগ বের করার সময়ই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে ঝলসে গুরুতর আহত হয় সিহাব। রান্নাঘরের চালা ও দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়ে যায় রান্নাঘরের কিছু আসবাবপত্র। বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভায়। রাতেই সিহাবকে (১৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। তবে গ্যাস সিলিণ্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে আহত অবস্থা কিশোর সিহাবকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমিসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দেয়ালে ফাটল ধরেছে। গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণ ঘটলে আগুনের উপস্থিতি অনেক বেশি থাকতো, পরিদর্শন করে তা মনে হয়নি। আগুনের উপস্থিতি অনেক কম মনে হয়েছে। এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হলে সিলিন্ডারের পাইপ, রেগুলেটর ও চুলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সেগুলো অক্ষত রয়েছে। তবে এখনি কোনো মন্তব্য করা যাবে না। সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপরই বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের ভাষ্য গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। আমিসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেহেতু আমরা বিশেষজ্ঞ নই তাই সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত বলতে পারবে।