চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পিএসজি। শনিবার রাতে জার্মানির মিউনিখে আলিয়ান্স অ্যারেনায় ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে ফরাসি ক্লাবটি। ট্রফি জয়ের শেষ ধাপে পৌঁছে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দলটির অধিনায়ক মার্কিনিউস। জানিয়েছেন শিরোপা জয়ের জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত তিনি।
২০২০ সালের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করার তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়ানো এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছি। আগামীকাল আমাদের সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ আছে। এটা ক্লাব ও সমর্থকদের জন্য অনেক কিছু এনে দেবে। এটা আমার দ্বিতীয় সুযোগ, আমি লড়াই ছাড়া হার মানব না।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের যাত্রা সহজ ছিল না পিএসজির। টুর্নামেন্টের শুরুতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তারা পড়ে গিয়েছিল ছিটকে পড়ার শঙ্কায়। প্রথম পাঁচ ম্যাচে তিন হার ও এক ড্রয়ের পর সালজবুর্গ, ম্যানচেস্টার সিটি ও স্টুটগার্টকে হারিয়ে প্লে অফে জায়গা পায় তারা। প্লে-অফে ব্রেস্টকে হারিয়ে রাউন্ড সিক্সটিনে উঠে দলটি।এরপর একে একে লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে।
পিএসজি ইতোমধ্যেই লিগ ওয়ান ও ফ্রেঞ্চ কাপ ও ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়নস জিতে ঘরোয়া মৌসুমে ট্রেবল নিশ্চিত করেছে। এখন ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ট্রফিটি ছোঁয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিনিউস বলেন, ‘আমরা ট্রফিটা প্যারিসে নিতে চাই, যেন সমর্থকদের সঙ্গে আমাদের এই স্বপ্ন ভাগ করে নিতে পারি। এখনই সময় —আমরা শিরোপা জয়ের জন্য যাচ্ছি।
’
এখনও পর্যন্ত মোট ১৬৭টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলেছে পিএসজি, কিন্তু একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। ইউরোপের ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ। যদি এবার তারা জয়ী হয়, তবে তারাই হবে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ক্লাব। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ম্যানচেস্টার সিটির, ১১৭তম ম্যাচে প্রথমবার ইউরোপ সেরা হযয়েছিল তারা।
এমআর/টিএ