কী দুর্দান্ত একটা রাতই না পার করলেন দেজিরে দুয়ে। বয়স মোটে ১৯। এরই মাঝে খেলতে নেমেছেন ফুটবলের অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ মানেই বাড়তি উন্মাদনা। কিন্তু এ যে ফাইনাল। মিউনিখের আলো ঝলমলে রাতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে বেশ বড় দায়িত্ব নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছিল পিএসজির দেজিরে দুয়েকে।
কিন্তু চাপের লেশমাত্র দেখা গেল না তার মাঝে। শুরুতে ভিতিনহার বল যেভাবে রিসিভ করে আশরাফ হাকিমিকে খুঁজে নিয়েছেন, সেটা নিয়ে আলাদা করে প্রশংসা করতেই হয়। ১২ মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেয়ার পেছনে ছিল তারই অ্যাসিস্ট। এরপর আবার নিজে করেছেন দুই গোল।
প্রথমে ফেদেরিকো ডিমার্কোর ভুলের সুযোগ নিয়ে ডানপ্রান্তে করেছেন ফিনিশিং। আবার দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে গোল করে দলের জয়টা একপ্রকার নিশ্চিত করেই ফেলেছিলেন দেজিরে দুয়ে। সেইসঙ্গে নাম তুলেছেন ইতিহাসের পাতায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে একই ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট আছে মোটে ৫ জনের। তাদেরই একজন দেজিরে দুয়ে। তবে, দেজিরে দুয়ে এমন কীর্তি করেছেন ম্যাচের মাত্র ২০ মিনিটের মাঝে। সেটা যেমন দ্রুততমের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, তেমন সবচেয়ে কম বয়েসে ইউসিএল ফাইনালে গোল এবং অ্যাসিস্টের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন দুয়ে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর আগে টিন-এইজ বা কিশোর হিসেবে ফাইনালে গোল করেছিলেন কেবল প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট এবং কার্লোস আলবার্তো। ক্লুইভার্ট ১৯৯৫ সালে আয়াক্সের ড্রিম টিমের হয়ে এই কীর্তি গড়েন। আলবার্তো তার গোল করেছিলেন ২০০৪ সালে পোর্তোর হয়ে। আর গতকাল শুরুতেই এই তালিকায় নাম তোলেন দেজিরে দুয়ে।
অবশ্য ম্যাচের একেবারে শেষে সেনি মায়ুলুও গোল করে কিশোরদের এই তালিকায় নাম তোলেন। গতকালের ম্যাচ খেলার সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর ১৪ দিন। প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে দুই কিশোরের গোল করার ঘটনাও এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে করে দেখিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।
এফপি/এসএন