ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আস্তে আস্তে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে। সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয় আজ সোমবার (২ জুন)। রাতভর মেঘলা আকাশের পর ভোর ৫টার দিকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামীরা।
অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, বাড্ডা, শ্যামলী, যাত্রাবাড়ী, কাওরান বাজার, বিজয় সরণির রাস্তায় পানি জমে গেছে। সড়কজুড়ে পানির কারণে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকার মানুষকে যানজট ও চলাচলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরেও রয়েছে মাঝারি অবস্থানে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই বৃষ্টি মূলত সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতার অংশ এবং এটি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টির কারণে নগরবাসীর জলাবদ্ধতা ও যানজটের মতো সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসএন