প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটা ছিল নেহাতই আনুষ্ঠানিকতার। কিন্তু না পাওয়ার সেই ম্যাচেই জ্বলে উঠল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। আরও স্পষ্ট করে বললে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমন। দুজন মিলে ওপেনিং জুটিতে এনেছেন ১১০ রান।
এটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে যেকোন উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ রেকর্ড। আর তাতেই ভর করে টাইগাররা আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ১৯৬ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি আবার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ।
এমন কিছুর পর বাংলাদেশের সমর্থকরা খানিক আশা দেখেছিলেন বটেই। অন্তত ১ ম্যাচ জিততে চলেছে বাংলাদেশ– সেই স্বপ্নও দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু তাতে গুড়েবালি। মোহাম্মদ হারিস একাই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের হাত থেকে। ১৯৭ রানের টার্গেট পাকিস্তান পার করেছে ১৬ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে।
রেকর্ড হয়েছে এখানেও। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। অবশ্য সবচে বড় রেকর্ড করেছেন মোহাম্মদ হারিস। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এমন এক কীর্তি তিনি গড়েছেন, যা তার আগে আর কেউই করে দেখাতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে এখন শতক এসেছে ৭টি। আগের ৬ সেঞ্চুরিই এসেছিল ওপেনারদের কাছ থেকে। আর গতকাল প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওপেনার না হয়েও পাকিস্তানের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন হারিস। এমন কীর্তি তার আগে করেননি কেউই।
১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে হারিস হাঁকিয়েছেন ৭ ছক্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তো বটেই, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যেকোনো ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড এটি। চলতি বছরের মার্চে হাসান নাওয়াজ (প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড) এবং ২০২১ সালে মোহাম্মদ রিজওয়ানও (প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা) হাঁকিয়েছিলেন ৭ ছক্কা।
৪৫ বলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন হারিস। দেশটির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ২য় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সবচেয়ে কম ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন হাসান নাওয়াজ।
আরআর/এসএন