আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ২০৪ রানের টার্গেট ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। আহমেদাবাদের মাঠে খেলেছেন ৪৭ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সেইসঙ্গে আইপিএল ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দলকে ফাইনালে নিয়েছেন আইয়ার।
নিজের কাঁধে পাঞ্জাব কিংসকে আইপিএলের ফাইনালে তুলে অধিনায়ক বলছেন, এখনও অর্ধেক কাজ বাকি রয়েছে। ম্যাচ শেষে শ্রেয়াস জানিয়েছেন, তাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এখনও বাকি রয়েছে। শ্রেয়াস বলেন, “কাজ এখনও অর্ধেক বাকি। আপাতত এই মুহূর্ত উপভোগ করছি। কিন্তু এরপরই সবচেয়ে বড় ম্যাচ। সে দিকেই নজর রয়েছে।”
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে নিয়ন্ত্রিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল পাঞ্জাবের। কিন্তু একবারও রান তোলার গতি কমেনি। তাতে বড় ভূমিকা শ্রেয়াসের। তিনি জানিয়েছেন, কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে তিনি ভালোবাসেন। আরও বলেন, “সত্যি বলতে আমি বড় ম্যাচে খেলতে ভালবাসি। আমি সবসময় নিজেকে আর সতীর্থদের বলি, কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে যত বেশি শান্ত রাখতে পারবে তত ভাল ফল হবে। এই ম্যাচই তার উদাহরণ। আমি মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছি। তাতে সফল হয়েছি।”
ফাইনালে শ্রেয়াসদের সামনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই দলের বিপক্ষেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারতে হয়েছিল পাঞ্জাবকে। বাজে ভাবে হেরেছিল তারা। একটা ম্যাচের দিকে তাকাতে নারাজ শ্রেয়াস। তিনি চান সামনের দিকে তাকাতে। শ্রেয়াস বলেন, “গোটা মৌসুম জুড়ে কী ভুল করেছি সে দিকে আমরা এখন তাকাতে চাইছি না। কারণ, গোটা মৌসুম জুড়ে আমরা খুব ভাল খেলেছি। একটা ম্যাচ হারলে দল হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব না। সামনের দিকে তাকাতে চাই। আর একটাই ম্যাচ বাকি।”
আইপিএলের একমাত্র অধিনায়ক হিসাবে তিনটি দলকে ফাইনালে তুলেছেন শ্রেয়স। ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস, ২০২৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পর এবার পাঞ্জাবের অধিনায়ক হিসেবে সেই কীর্তি গড়েছেন তিনি। যদি পাঞ্জাবকে শ্রেয়াস ফাইনালে জেতাতে পারেন তাহলে পর পর দু’বার আইপিএল জিতবেন তিনি। তা-ও আলাদা দুটো দলের হয়ে। আপাতত সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন তিনি।
এসএন