নিম্নচাপের কারণে বৈরী আবহাওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবে নিখোঁজের দুদিন পার হলেও পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) খোঁজ মেলেনি। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে মো. তামিম (৩) নামের এক রোহিঙ্গা শিশু।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমুল হুদা জানান, ধারনা করা হচ্ছে জোয়ারের পানিতে তারা তলিয়ে গেছেন। তবে তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
এ যাত্রীবাহী ট্রলারটি ৩৯ যাত্রী, মাঝিমাল্লাসহ শনিবার দুপুরে বৈরী আবহাওয়ায় ডুবোচরে তলা ফেটে গেলে হাতিয়ার করিম বাজাররে অদূরে ডুবে যায়। পরে এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ ও ১ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, ভাসানচর থানার সাব পোস্ট মাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো.গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।
নিখোঁজ সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন এবং তামিম ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো.তারেকের ছেলে।
এদিকে পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামে পরিবারে বহিছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা-মা বাকরুদ্ধ।
ছেলের সন্ধান পাওয়া নিয়ে অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দিন পার করছে স্বজনেরা।
জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৪জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ ৩৯জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
টিকে/টিএ