থালাপতি বিজয় যখন রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশের জন্য সিনেমা থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন তাঁর শেষ ছবি ‘জনা নায়গন’ যেন আরও আবেগঘন হয়ে উঠছে। এই আবেগ শুধু ভক্তদের নয়, ছুঁয়ে গেছে সহ-অভিনেত্রী পূজা হেগড়েকেও।
‘বিস্ট’-এর পর ফের একসঙ্গে কাজ করছেন বিজয়-পূজা জুটি। তবে এবারের দেখা যেন শেষবারের মতো। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেন, “আমার একাংশ খুব দুঃখিত, কারণ আমরা সবাই বিজয়ের ছবি দেখতে ভালোবাসি। আমিও ভীষণ পছন্দ করি ওঁর সিনেমা।”
তিনি আরও বলেন, বিজয়ের শান্ত স্বভাব এবং পেশাদারিত্বে কাজ করাটা এতটাই সাবলীল ছিল, যেন কোনো কষ্টই নেই। ‘বিস্ট’-এর সেই ভাইরাল হিট গান ‘অ্যারাবিক কুথু’-র স্মৃতি তাঁদের এই পুনর্মিলনে একরাশ নস্টালজিয়া এনেছে বলেও জানান পূজা।
ভক্তরা অনলাইনে লিখছেন, “বিজয়ের স্ক্রিন প্রেজেন্সের কোনো বিকল্প নেই। 'জনা নায়গন' হবে তাঁর শেষ গর্জন। একটি যুগের অবসান ঘটতে চলেছে, কিন্তু কতটা অসাধারণ হবে এই বিদায়!”
ছবির পরিচালক এইচ. ভিনোথ। অভিনয়ে রয়েছেন থালাপতি বিজয়, পূজা হেগড়ে, খলনায়কের চরিত্রে ববি দেওল এবং আরও আছেন গৌতম বাসুদেব মেনন, প্রিয়ামণি ও মমিতা বাইজু। সঙ্গীত পরিচালনায় ফিরছেন অনিরুদ্ধ রবিচন্দর। এক হাই-এনার্জি র্যাপ ট্র্যাকে কণ্ঠ দিচ্ছেন হানুমানকাইন্ড।
গুজব রয়েছে, শ্রুতি হাসান একটি বিশেষ ক্যামিও চরিত্রে দেখা দিতে পারেন। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, 'ভগবন্ত কেশরি' সিনেমার ‘গুড টাচ, ব্যাড টাচ’ মনোলগের রিমেক রাইট কিনে ফেলেছে 'জনা নায়গন' টিম। সেই সংলাপকে বিজয় তাঁর নিজস্ব ঢঙে উপস্থাপন করবেন, সামাজিক বার্তার মোড়কে।
ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ৯ জানুয়ারি, ২০২৬—থিয়েটারে একপ্রকার বিদায়ী উৎসব হিসেবে। পূজা হেগড়ের কাছে এ ছবি আর পাঁচটা বড় বাজেটের সিনেমা নয়—এটা ইতিহাসের অংশ।
এফপি/ টিএ