ম্যাচের তখন ৭০তম মিনিট। পশ্চিম গ্যালারী (মোহামেডান) থেকে আকস্মিকভাবে মাঠে প্রবেশ করেন এক তরুণ সমর্থক। সকলকে ফাঁকি দিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ডাগ আউটে হামজার কাছাকাছি পৌঁছান। মোবাইলে ছবি তোলার আগেই অবশ্য পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।
নিরাপত্তাকর্মীরা তখন সমর্থককে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। ঐ ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার পূর্ব পাশের গ্যালারীর সামনে থেকে একজনকে টেনে আনতে দেখা যায়। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে বাফুফের এটি বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ।
কিংস অ্যারেনায় সমর্থকরা মাঠে ঢুকে পড়ে যেতেন। এজন্য এএফসি ১০-২০ হাজার ডলার জরিমানাও করেছে একাধিকবার। পাঁচ বছর পর জাতীয় স্টেডিয়ামে আবার ফুটবল ফিরেছে। প্রীতি ম্যাচেই দর্শকদের এমন আচরণ বাফুফেকে শঙ্কায় ফেলেছে। কারণ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটলে বড় অঙ্কের জরিমানার মধ্যে পড়বে ফেডারেশন।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে মাঠের আশেপাশে হাটাচলা খুবই সীমিতকরণ থাকে। তবে আজ খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব ছিল। বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমকে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় মুঠোফোন ব্যবহার করতে দেখা গেছে মাঠের এক অংশে। কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল ম্যাচ তদারকি করছিলেন একেবারে খেলা শুরু হওয়ার আগ থেকে। তিনি পুরো স্টেডিয়াম বারবার প্রদিক্ষণ করেছেন নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার জন্য।
এসএন