সালমান খানের ‘মাস অ্যাকশন প্রত্যাবর্তন’ হিসেবে ঘোষিত সিকান্দার গত ২৫ মে মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। মুক্তির পরপরই এটি দক্ষিণ এশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে অ-ইংরেজি জনপ্রিয় তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টির বেশি দেশে এক নম্বরে পৌঁছেই যেন প্রমাণ করেছিল—সালমানের তারকাখ্যাতি এখনো অটুট। কিন্তু এতসব চমক সত্ত্বেও ভারতের মূল দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি এই বহুচর্চিত সিনেমাটি।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই দর্শকসংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৫.১ মিলিয়নে। যদিও সংখ্যাটি কম নয়, তবে সাম্প্রতিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জুয়েল থিফ (৭.৮ মিলিয়ন) বা পুষ্পা ২ (৫.৮ মিলিয়ন)-এর তুলনায় এটি বেশ পিছিয়ে। আর এই পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দেয়—মানুষ দেখছে ঠিকই, কিন্তু আগ্রহ বা ভালোবাসা থেকে নয়, বরং নিছক কৌতূহলবশত।
মূলত প্রেক্ষাগৃহে এই সিনেমা তেমন চলেনি। সমালোচকদের অভিযোগ ছিল—চিত্রনাট্যের দুর্বলতা, ধীর গতি আর অভিনয়ে তেমন কিছু নেই যা দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে। ফলে নেটফ্লিক্সই ছিল শেষ ভরসা। কিন্তু সেখানেও মিলল না কাঙ্ক্ষিত প্রশংসা। বরং অনেক দর্শক স্পষ্ট বলছেন—সালমানের আগের সেই স্টাইল আর তেমন আগ্রহ জাগায় না। রাশমিকা মান্দান্নার চরিত্রটিও ছিল প্রেক্ষাপটহীন এবং গুরুত্বহীন। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের দর্শকদের চোখে সিকান্দার যেন এক দশক আগের চেনা কায়দার পুরনো প্যাকেট।
স্ট্রিমমিটার ইন্ডিয়ার ভাষায়, “সিকান্দার অনেক শব্দ করেছে, কিন্তু ভেতরে ছিল না কোনও মজবুত কনটেন্ট। পরিচালক এ.আর. মুরুগাদোসও এই সিনেমায় নতুন কিছু উপস্থাপন করতে পারেননি।”
সব মিলিয়ে বলা যায়, সিকান্দার এর ফলাফল স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে—শুধু তারকা খ্যাতি দিয়ে দর্শককে ধরে রাখা যায় না, বিশেষ করে যখন তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আরও বুদ্ধিদীপ্ত, অভিনব এবং সময়োপযোগী কাহিনি খোঁজে। সালমানের এই ‘ফিরে আসা’ তাই অনেকের কাছেই এক সতর্কবার্তা—এটা আর পুরনো স্টাইল চালিয়ে যাওয়ার সময় নয়, বরং দরকার এক সাহসী, ভিন্নমাত্রিক ও আধুনিক ‘পুনর্জন্ম’।