আসছে ভারতের আরেকটি বড় বাজেটের সিনেমা। কেবল বাজেটেই নয়, তারকার ভিড়, নির্মাণ কৌশল ও কল্পনার বিস্তার—সব মিলিয়ে এই প্রজেক্ট এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আর তার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, এই প্রথমবার দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ও বলিউড হিট পরিচালক আটলি একসঙ্গে কাজ করছেন।
এই সিনেমার ঘোষণার পর থেকেই সিনেমাপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। কারণ এটাতে থাকছেন দীপিকা পাড়ুকোন, থাকছে সম্পূর্ণ ভিএফএক্স-নির্ভর এক নতুন জগৎ। আটলি এর আগে ‘মার্সাল’, ‘বিগিল’ কিংবা সর্বশেষ ‘জওয়ান’-এর মতো অ্যাকশন-ড্রামা করেছেন বাস্তব ঘরানায়। এবার তিনিও নতুন পথে হাঁটছেন—এটা হতে যাচ্ছে তার প্রথম পুরোপুরি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা।
তবে সব কিছুর মধ্যেও সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো আল্লু অর্জুন নিজেই। শুধু প্রধান চরিত্রে অভিনয়ই নয়, এই সিনেমার স্টাইল, কাঠামো, পরিকল্পনা—সবকিছুতেই তিনি সরাসরি যুক্ত। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি পরিচিত একজন হ্যান্ডস-অন তারকা হিসেবে। ‘পুষ্পা’র সময় যেমন অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের স্টাইল, লুক, এমনকি সংলাপ পর্যন্ত নজরদারি করেছেন, এখানেও তেমনটাই করছেন বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ঘোষণার ভিডিওতেই দেখা গেছে, ছবির জগৎ হবে বিশাল, প্রযুক্তিনির্ভর এবং অনেকটাই অলৌকিক ঘরানার। দীপিকার উপস্থিতি এটিকে এনে দিচ্ছে বলিউডি চমক, আর আল্লু অর্জুনের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ সেটিকে রূপ দিচ্ছে এক উচ্চাভিলাষী মিশ্রণে।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, এই সিনেমার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আটলির চেনা ছকের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার সাহস এবং আল্লু অর্জুনের ভিশনের ওপর। এখনকার দিনে বড় তারকারা কেবল অভিনয় করেই থেমে থাকছেন না, তারা হচ্ছেন সহ-নির্মাতা, এমনকি সৃজনশীল নেতা। শাহরুখ খান ‘জওয়ান’-এ, প্রভাস ‘কাল্কি’-তে এবং এখন আল্লু অর্জুন এই সিনেমায় তা প্রমাণ করছেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এটি আর শুধুই একটি বড় বাজেটের সিনেমা নয়। বরং এটি হচ্ছে এক নতুন ধাঁচের সহযোগিতামূলক সিনেমা—যেখানে তারকারা ক্যামেরার সামনে যতটা, ক্যামেরার পেছনেও ঠিক ততটাই সক্রিয়। এই সিনেমা যদি সফল হয়, তাহলে শুধু আটলি বা আল্লু অর্জুন নয়, পুরো ভারতীয় সিনেমার ভবিষ্যতের পথ বদলে যেতে পারে।