বাংলাদেশের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৮৩। সিঙ্গাপুরের ১৬১। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য ২২। এরপরও সিঙ্গাপুরের জাপানি কোচ বাংলাদেশকে প্রায় সমশক্তির আখ্যা দিয়েছেন আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে।
সিঙ্গাপুরের জাপানিজ কোচ সুতোম ওগুরা বলেন, ‘এশিয়া থেকে উজবেকিস্তান,জর্ডান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে। এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে আগের মতো অনেক বিস্তর ব্যবধান নেই। আমাদের গ্রুপের ( এশিয়ান কাপ বাছাই ) প্রায় সব দলই সমশক্তির। র্যাঙ্কিং আমার কাছে বিবেচ্য নয়।'
সিঙ্গাপুর এশিয়ার দেশ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব সচারচর মুখোমুখি হওয়া হয় না। ২০১৫ সালের পর আবার দুই দল মোকাবেলা করবে। ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ এক গোল দিয়েও দুই গোল হজম করেছিল।
দশ বছর প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলেছে মনে করেন সিঙ্গাপুরের কোচ,'আমি জানি না বাংলাদেশের সঙ্গে ১০ বছর আগে কী ফল ছিল। প্রায় দেড় বছর হলো আমি সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিয়েছি। এই দলের হারুন ১০ বছর আগে খেলেছে। ওর মনে হয় বাংলাদেশের কথা মনে আছে। আমি অবশ্য বাংলাদেশকে সমীহ করছি। এই দেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি আবেগ অনেক। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। আশা করি, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’
হারুন দলের অধিনায়ক আবার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি। তাকে নিয়ে কোচ বলেন, 'হারুন ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একই সঙ্গে এই দলের ফুটবলার। ওর মতো কিছু অভিজ্ঞ ফুটবলার সহযোগিতা করছে আমাদের। আমাদের ফুটবলাররা অন্যরকম। কিছু বিদেশি ফুটবলার ও স্থানীয়রা মিলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে। এখানে নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞরা এক সঙ্গে খেলছে। এটা দলের জন্য ভালো রসায়ন।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং। চার দলের মধ্যে গ্রুপে শীর্ষস্থানধারী দল এশিয়া কাপে খেলবে। প্রথম ম্যাচ শেষে চার দলেরই সমান এক পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানও শূন্য। আগামীকাল যারা জিতবে তারাই গ্রুপের শীর্ষ স্থানে থাকার সুবর্ণ সুযোগ। এরপরও সিঙ্গাপুরের কোচ এখনই এশিয়া কাপ নিয়ে কিছু ভাবছেন না, 'আসলে এশিয়া অনেক লম্বা প্রসেস। অনেক খেলা বাকি। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই। আগামীকালের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। '
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরি বাংলাদেশের হয়ে খেলার পর দৃশ্যপট বদল হয়েছে। হামজা ছাড়াও বাংলাদেশ দলে আরো পাঁচ জন প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ কোচের মন্তব্য, 'হামজার পাশাপাশি আরো কয়েকজন রয়েছে যারা কানাডা ও অন্য দেশ থেকে এসেছে। তাদের সবার সম্পর্কে ডিটেইলস আমার জানা নেই। এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলকে সাহায্য করবে। কিন্তু ওরা যেহেতু ভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিবেশ থেকে এসে এখানে মানিয়ে নিয়েছে। ওরা আসায় স্থানীয় ফুটবলাররাও এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি পরিপূর্ণ থাকার কথা। স্বাগতিক বাংলাদেশের সমর্থন নিয়ে ভাবছেন না কোচ সুতোম ওগুরা, 'বাংলাদেশ কীভাবে খেলবে সেটাও জানি না। যদিও এখানে সমর্থকের চাপ থাকবে। কিন্তু আমাদের দর্শকের সামনে খেলার এমন অনেক অভিজ্ঞতা আছে। মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে খেলেছি। সেখানে যেমন খেলেছি ঢাকাতেও তেমনি ছেলেরা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে।’
টিএ/