এই সময়ের বলিউডে যেকোনো সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে ‘টাইমিং’। আর সেই বিচারে অভিনেত্রী মৃণাল ঠাকুরের যাত্রা এক নিখুঁত উদাহরণ। ছোটপর্দা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, আজকের দিনে তিনি দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনে এক সুপরিচিত মুখ। তবে বলিউড এখনো পুরোপুরি তাকে আপন করে নেয়নি।
মৃণাল ঠাকুরের শুরু হয়েছিল টেলিভিশনে। সেখানেই তার অভিনয়ের গভীরতা নজর কাড়ে। এরপর এক সাহসী চরিত্রে ‘লাভ সোনিয়া’ ছবিতে বলিউড অভিষেক ঘটে। যদিও ছবিটি প্রশংসা পেয়েছিল, তবে সেটা থেকে বলিউডের মূলধারায় তার জন্য বড় কোনো সুযোগ খুলে যায়নি। ‘সুপার থার্টি’ এবং ‘বাটলা হাউস’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেও তিনি কিছুটা আড়ালে থেকে যান।
এরই মধ্যে তিনি নিজের দিক ঘুরিয়ে নেন দক্ষিণ ভারতের দিকে। ‘সীতা রামাম’ ছবিতে তার আবেগপ্রবণ ও মুগ্ধ করা অভিনয় দর্শক ও সমালোচক— উভয়ের কাছেই প্রশংসিত হয়। এই ছবিতে তিনি অর্জন করেন ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার (তেলুগু বিভাগে)। এরপর ‘হাই নান্না’ ছবিতে তার মমতাময়ী চরিত্র আরও একবার দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। এই দুটি সিনেমা তাকে দক্ষিণে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীর স্বীকৃতি এনে দেয়।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে— বলিউড কি মৃণালকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দেবে? তার দক্ষতা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। কিন্তু বলিউডে এখনো পর্যন্ত তার নাম বড় পরিসরে আলোচিত হয়নি।
এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে শিগগিরই। কারণ মৃণাল ঠাকুরকে এবার দেখা যাবে পরিচালক ডেভিড ধাওয়ানের রোমান্টিক-কমেডি ‘হ্যায় জওয়ানি তো ইশক হোনা হে’ ছবিতে। এই ছবির মাধ্যমে তিনি প্রবেশ করতে যাচ্ছেন মূলধারার বাণিজ্যিক বিনোদনের জগতে। এছাড়া ‘সন অব সর্দার ২’ নামের জনপ্রিয় সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তিতেও দেখা যাবে তাকে। এই দুটি ছবিই তার ক্যারিয়ারে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা।
এসএম/টিএ