যেখানে আজকের চলচ্চিত্রজগতে বেশিরভাগ তারকা শুধুমাত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার জন্য বড় বাজেট বা তারকাসমৃদ্ধ ব্যানারের পিছনে ছুটছেন, সেখানে দুলকার সালমান হাঁটছেন একেবারে ভিন্ন পথে। নিজের ক্যারিয়ারে তিনি বরাবরই গুরুত্ব দিয়েছেন গল্প, দৃঢ়তা ও সৃজনশীলতার প্রতি। আর তার এই অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাই আজ তাকে এনে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা।
চাই সেটা মালায়ালম হোক, তামিল, তেলুগু কিংবা হিন্দি, দুলকার সালমান সবসময়ই বলেছেন, ‘দৃঢ় চিত্রনাট্য ছাড়া কোনো কাজ করব না।’ বাজেট বা ব্যানারের মায়াজাল তাকে আকর্ষণ করে না। এই সৎ ও স্পষ্ট নীতির কারণে তিনি অনেক হাই-প্রোফাইল সিনেমা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, যেগুলো পরে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি নির্মাতা শঙ্কর পরিচালিত ‘ইন্ডিয়ান ২’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের প্রস্তাব। সেই চরিত্রটি পরে করেন সিদ্ধার্থ, কিন্তু ছবিটি সমালোচকদের রোষানলে পড়ে এবং বক্স অফিসেও ব্যর্থ হয়। দুলকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত এখানে প্রশংসনীয়।
ঠিক একইভাবে, মানি রত্নম পরিচালিত ‘ঠগ লাইফ’ সিনেমা থেকেও নিজেই সরে যান দুলকার সালমান। যদিও তার নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল এবং পোস্টারও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আসার পর তিনি নীরবে নিজেকে আলাদা করে নেন। এই সিনেমাটিও মুক্তির পর প্রত্যাশিত প্রশংসা পায়নি, বরং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় ভরে ওঠে।
এই দুই হাই-প্রোফাইল প্রজেক্ট থেকে সরে এসে দুলকার বেছে নেন ‘লাকি ভাস্কর’ নামের একটি তুলনামূলকভাবে কম আলোচিত তেলুগু সিনেমা, যার পরিচালক ভেঙ্কি আটলুরি। তবে ছবির গল্প, গভীরতা এবং নির্মাণশৈলী এতটাই পরিপক্ব ছিল যে, সিনেমাটি মুক্তির আগেই প্রশংসা কুড়ায়।
এখন যখন ‘ইন্ডিয়ান ২’ ও ‘ঠগ লাইফ’ দুই ছবিই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন— “আসল লাকি ভাস্কর তো দুলকার সালমান নিজেই!” কারণ শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও নিজের সিদ্ধান্তে তিনি প্রমাণ করেছেন, তার জায়গা কোথায়।
এসএম/টিএ