প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা। রবিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে জানা যায়, এখনো এই অভিনেত্রী জীবিত আছেন। লাইফ সাপোর্টে আছেন।
কিন্তু যেকোনো সময় সুবহার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হতে পারে বলেও জানিয়েছে তার পরিবার। সুবহার স্বামীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। তানিন সুবাহর স্বামী একজন বৈমানিক। তিনি অনুমতি দিলেই লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হবে বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রীর ছোট ভাই।
তবে এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানালেন চিত্রনায়িকা রোমানা ইসলাম নীড়। সোমবার বিকেলে তিনি বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘তানিনের লাইফ সাপোর্ট এখন আপাতত খোলা হচ্ছে না। শুধু শুধু ব্রিভ্রান্তিমূলক কথা লিখবেন না। হাসপাতাল আমাদের যথেষ্ট সাপোর্ট করতেছে এই ব্যাপারেও খারাপ কিছু বলার সুযোগ নেই।
একটা মানুষের নিঃশ্বাস আছে জেনেও কোনো পরিবার তার লাইফ সাপোর্ট খুলতে পারে না, আর সেটাই হচ্ছে! তাই সবাই ওর জন্য দোয়া করেন। ভুল নিউজ ছড়াবেন না দয়া করে।’
তিনি বলেন , ‘পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী—সবাই চাচ্ছে ও ফিরে আসুখ আর সেটার অপেক্ষায় হচ্ছে! সময়টা কঠিন তাই ধর্য ধরতে হবে সবাইকে। আল্লাহ চাইলে তানিন ব্যাক করবে আমাদের মাঝে।’
এদিকে গণমাধ্যমকে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন , চিকিৎসকরা পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন যে কাল সন্ধ্যা ৭টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চান।
এ নিয়ে কথাও হচ্ছিল , আমিও ছিলাম সেখানে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আমি একটু কাজে বাইরে আসার পরেই ওর পরিবার থেকে আমাকে ফোন করে জানাল, ডাক্তাররা আন-অফিশিয়ালি তানিন সুবহাকে মৃত ঘোষণা করে। চিকিৎসকেরা সেসময় বলছিল শুধু হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু তানিন ব্রেইন ডেড। সন্ধ্যার পরে লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসকেরা ঘোষোণা দেবেন। সিদ্ধান্ত ছিল পরিবারের ওপর।
জয় বলেন, তানিন সুবহার বিষয়ে কোনো আশা দেখছেন না চিকিৎসকেরা।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ তানিন সুবহা হঠাৎ করেই গত ২ জুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাজধানীর আফতাবনগরের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাসায় ফিরলে সন্ধ্যার দিকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তখন তাৎক্ষণিক বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে ধানমণ্ডির পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় অভিনেত্রীকে।
তানিন সুবহা ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও সমানভাবে কাজ করে গেছেন।
কেএন/টিকে