‘দলমতের পার্থক্য চাই না, আমরা আমাদের তিস্তা সমস্যার সমাধান চাই’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন তিস্তা নদীবেষ্টিত রংপুর অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, যদি তিস্তানদীকে শাসন করা হতো, বাঁধ থাকত, নদীর গভীরতা থাকত, পানির প্রবাহ সঠিকভাব হতো, তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠত।


তাহলে এই নদী আমাদের জন্য কয়েকগুণ সৌভাগ্যের প্রতীক হতো। সম্প্রতি আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা আশাবাদী, দলমতের পার্থক্য চাই না। আমরা আমাদের তিস্তা সমস্যার সমাধান চাই।


আজ সোমবার (৯ জুন) দুপুরে ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আমসা) আয়োজনে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মোফাজ্জল হোসেন মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে 'সম্প্রীতি ও ঐক্য সমাবেশ ও নবীনবরণ' অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (আমসা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির এ টি এম আজম খানসহ স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা বক্তব্য দেন।

কাউনিয়া উপজেলাকে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল থেকে এগিয়ে নিতে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান আখতার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির উপযোগী করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তোলা ও ভর্তি ইচ্ছুদের যে ধরনের পরামর্শ ও উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন, তা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, আমাদের অপ্রাপ্তির অসংখ্য জায়গা রয়েছে। শুধু রংপুর নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ যেভাবে উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। প্রত্যেকটা বিষয়ে, আমাদের দীর্ঘ সময়ের আপে ও হতাশা রয়েছে। ঢাকা থেকে রংপুরে রেলপথে আসতে গেলে সিরাজগঞ্জ থেকে এতদূর ঘুরে বগুড়া হয়ে তারপর আমাদের আসতে হয়।

যদি বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ রেললাইন থাকত, রংপুর অঞ্চলের মানুষের ঢাকা থেকে রংপুর আসতে অন্তত চার ঘণ্টা সময় কম লাগত।বিগত সময়ের মতো রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের মানুষ এখনও 'ঈদ স্পেশাল ট্রেন' থেকে বঞ্চিত থাকায় আপে প্রকাশ করে আখতার হোসেন বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের উত্তরাঞ্চলের মানুষকে ঈদের সময় ট্রেনের ছাদে করে আসতে হয়। আমাদের জন্য স্পেশাল ট্রেন থাকে না। রংপুরের মানুষ যাতে সহজে ঢাকা-রংপুর যাতায়াত করতে পারে, সে জন্য সড়কপথ ও রেলপথের যে সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারের জন্য এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত সকলকে এই সুরে কথা বলতে হবে। উত্তরাঞ্চলের স্বার্থে আমরা কখনো মতপার্থক্যকে প্রাধান্য দেব না।

এসএম/টিএ    

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারীরা এখনও রাজনীতিতে যেতে নিরুৎসাহিত হয়: রুমিন ফারহানা Jun 10, 2025
img
জিয়া পরিবার ছাড়া জনগণের হয়ে কেউ কাজ করেনি: এ্যানি Jun 10, 2025
img
সাকিবের মেজাজ হারানোর কথা মনে করালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন Jun 10, 2025
img
যদি কেউ আমাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়, তবে আমরা তাদের রুখে দিব : এনসিপি নেতা জুবাইরুল Jun 10, 2025
img
ভক্তদের অনুরোধে সাড়া, ‘হেরা ফেরি ৩’-তে ফিরছেন পরেশ রাওয়াল! Jun 10, 2025
img
ব্রহ্মপুত্র ন‌দে জে‌লের বড়‌শি‌তে ধরা পড়ল সা‌ড়ে ৯ কে‌জি ওজ‌নের চিতল Jun 10, 2025
img
ইতালিতে নাগরিকত্ব আইন সহজ করার গণভোট ব্যর্থ Jun 10, 2025
img
দুপুর ২টায় খুলবে জাতীয় স্টেডিয়ামের গেট, মেনে চলতে হবে নির্দেশনা Jun 10, 2025
img
বিয়ে বাড়িতে গরুর মাংস কম দেওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে বরসহ আহত ২৫ Jun 10, 2025
img
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের যাওয়াটা অপরাধের পর্যায়ে ছিল না : মাসুদ কামাল Jun 10, 2025
img
অধিনায়কত্ব হারাতে বসেছেন শান মাসুদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান Jun 10, 2025
img
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হলে জনগণ উপকৃত হবে : এ্যানি Jun 10, 2025
img
লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক আগামী শুক্রবার Jun 10, 2025
img
Peak Comedy চলছে দেশে: উমামা ফাতেমা Jun 10, 2025
img
‘আপনার টোল দেওয়া লাগবে না’, এক্সপ্রেসওয়েতে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা অমির Jun 10, 2025
img
শেখ হাসিনার মতো মাফিয়াকে বিতাড়িত করেছি, এখন আমরাই বড় মাফিয়া: এনসিপি নেতা জুবাইরুল Jun 10, 2025
img
পার্লামেন্টে এসে দেখা করুন, চলুন কথা বলি : ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে টিউলিপ Jun 10, 2025
img
বাংলাদেশের ইতিহাসে এত শক্তিশালী সরকার কখনো আসেনি: ইলিয়াস হোসেন Jun 10, 2025
img
যে নির্দোষ, সে যেন শাস্তি না পায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jun 09, 2025
img
আসাম রাজ্যে বিদেশি শনাক্ত হলেই তাদের পুশ ইন করা হবে বাংলাদেশে Jun 09, 2025