টাবুর সঙ্গে দশ বছরের পরকীয়া, কী প্রতিক্রিয়া দেন নাগার্জুনের দ্বিতীয় স্ত্রী অমলা ?
মোজো ডেস্ক 09:39AM, Jun 12, 2025
বছর দশেক অপেক্ষা করার পর টাবু বুঝতে পারেন, নাগার্জুনের পক্ষে বিবাহবিচ্ছেদ করা অসম্ভব। তাই সম্পর্ক ভেঙে মুম্বই ফিরে আসেন টাবু।
নব্বইয়ের দশকে টাবু ও নাগার্জুনের প্রেম ছিল টলিউড-পারাপারের অন্যতম চর্চিত সম্পর্ক। প্রেমে এতটাই টান ছিল যে, টাবু মুম্বই ছেড়ে হায়দরাবাদে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। প্রায় এক দশক ধরে প্রেম করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই সময় নাগার্জুন ছিলেন বিবাহিত, তার স্ত্রী অমলা আক্কিনেনিকে নিয়ে গড়া সংসার ছিল।
টাবুর ইচ্ছা ছিল, নাগার্জুন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করবেন। সে আশায় দীর্ঘ দশ বছর অপেক্ষা করেন টাবু। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও নাগার্জুন সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। শেষমেশ সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য হন টাবু এবং ফিরে আসেন মুম্বইয়ে।
তবে নাগার্জুনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হলেও তার প্রতি অনুভূতি মন থেকে মুছতে পারেননি টাবু। অন্যদিকে, স্বামীর এই দীর্ঘ প্রেম সম্পর্কে কী ভাবতেন অমলা? স্বামীর পরকীয়া জেনে তার প্রতিক্রিয়াই আজও বলিউডপাড়ায় কৌতূহলের বিষয়।
১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক কমেডি ঘরানার তেলুগু ছবি ‘আভিড়া মা আভিড়ে’। এই ছবির শুটিং করতে গিয়েই টাবুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নাগার্জুন। তার আগে পরিচালক সাজিদ নাদিয়াওয়ালার সঙ্গে টাবুর সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সাজিদের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী মারা যাওয়ার পরে টাবুকেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু টাবু মন দিয়ে বসেন নাগার্জুনকে। ‘কফি উইথ কর্ণ’-তে নাগার্জুনকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বলেছিলেন, ‘‘জীবনে বহু প্রেমিক এসেছেন এবং গিয়েছেন। কিন্তু নাগার্জুন আমার অন্যতম কাছের মানুষ। আমার খুব ভাল বন্ধু।’’ টাবু সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের গুঞ্জন চলাকালীন সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি নাগার্জুনের স্ত্রী অমলা। কিন্তু তব্বু হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই ফিরে আসার পর অমলা প্রথম মুখ খুলেছিলেন। স্বামীর চর্চিত প্রেমিকা প্রসঙ্গে অমলার মন্তব্য ছিল, ‘‘টাবুর সঙ্গে যোগাযাগ আছে। আমি জীবনে খুব সুখী। আমার সংসার মন্দিরের মতো। আমার স্বামীকে নিয়ে এ ধরনের কোনও চর্চাকে একেবারেই সমর্থন করি না। আমি চাই আমার সংসার এ সবের থেকে দূরে থাকুক। এই ধরনের খবর একেবারেই মিথ্যে।’’