ইউনূস-তারেক বৈঠকে স্বস্তি ও আশার আলো দেখছে ১২ দলীয় জোট

অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো এনেছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ১২–দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এক বিবৃতি দিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক যেন শুধু কথার কথায় না থাকে, সেই প্রত্যাশা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের।’

১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন এবং নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এফপি/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলে নিখোঁজ ৩৫ জন Jun 15, 2025
img
শান্তির জন্য ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করার আহ্বান হোয়াইট হাউসের Jun 15, 2025
img
৫২টি ফ্লাইটে ফিরলেন ২০ হাজারের বেশি হাজি Jun 15, 2025
img
কখনোই দিনে ২০ ঘণ্টা কাজ করিনি : কাজল Jun 15, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ বাঁচবে : খৈয়াম Jun 15, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে মেসির ইন্টার মায়ামির গোলশূন্য সূচনা Jun 15, 2025
img
ঈদের ছুটি শেষে শেয়ার বাজার খুলছে আজ Jun 15, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবুও তাপমাত্রা বাড়তে পারে Jun 15, 2025
img
১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলছে আজ Jun 15, 2025
img
কুবেরা মুক্তির আগে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিকে সতর্ক করলেন নাগার্জুনা Jun 15, 2025
img
সীতাকুণ্ডে ঝরনায় ডুবে প্রাণ গেল ১ জনের Jun 15, 2025
img
গত ১৭ বছর মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিলেন স্বৈরাচারী সরকার : শারমিন পুতুল Jun 15, 2025
img
ইরানের হামলায় নেতানিয়াহুর দেশে নিহত বেড়ে ছয়, আহত প্রায় ৫০ Jun 15, 2025
img
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩ Jun 15, 2025
img
এবার ইসরায়েলে হামলা করল ইয়েমেন Jun 15, 2025
img
পটুয়াখালীতে দুই বাসের মাঝে আটকে প্রাণ গেল তরুণীর Jun 15, 2025
img
আবারও মিসাইল নিক্ষেপ করল ইরান, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা সাইরেন Jun 15, 2025
img
পাঠান-টাইগারের পর আসছে 'ওয়ার টু', একসঙ্গে দেখা যাবে হৃতিক-এনটিআর-আলিয়াকে Jun 15, 2025
img
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা চালাতে পারে ইসরায়েল Jun 15, 2025
img
'টানা ২০ ঘণ্টা কাজ করিনি'— দীপিকার সমর্থনে মুখ খুললেন কাজল Jun 15, 2025