
বর্তমান সময়ের তারকারা আর কেবল রূপালি পর্দার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। আজকের দিনে তারকারা সমানতালে রাজত্ব করছেন হাতের ফোনের পর্দাতেও। ২০২৫ সালে তারকাখ্যাতি পাচ্ছে নতুন সংজ্ঞা—এখন সবকিছু চলছে অ্যালগরিদম, সেলফি আর স্পনসরের নিয়ন্ত্রণে।
আগে সিনেমায় বড় চরিত্র পাওয়া বা বক্স অফিসে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করাই ছিল সাফল্যের মাপকাঠি। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এখন একজন তারকার মূল পরিচয় তৈরি হচ্ছে তার প্রভাবের মাধ্যমে—নাম নয়, ফলোয়ারই হচ্ছে আসল পরিচয়।
ভারতের কিছু পরিচিত মুখ এই নতুন বাস্তবতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। জান্নাত জুবায়ের রহমানি, যার সর্বশেষ বড় সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে, তার অনুসারীর সংখ্যা এখন ৫ কোটির বেশি। অথচ ব্র্যান্ডগুলোর কাছে তিনিই সবচেয়ে প্রিয় মুখ। অভনেত্রী অভনিত কউরের সিনেমা মুক্তি না থাকলেও তিনি এখনো নতুন প্রজন্মের তারকা হিসেবে পরিচিত। কারণ তারা হারিয়ে যাননি, বরং কৌশলে নিজেদের জায়গা নিয়েছেন রিলস, রিচ আর রিলেভেন্সের মাধ্যমে।
আয়ের দিক থেকেও বদল এসেছে। দিশা পাটানির মতো অনেক তারকা এখন সিনেমা থেকে নয়, ইনস্টাগ্রামে করা ব্র্যান্ড পোস্ট থেকেই আয় করছেন কয়েকগুণ বেশি। কারণ ব্র্যান্ড প্রচার মানেই তাৎক্ষণিক টাকা, ঝুঁকিমুক্ত প্রচার আর বিশ্বজুড়ে এক্সপোজার।
শুধু নতুনরা নন, পুরনো অনেক তারকাও এখন ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় থেকে ধরে রেখেছেন জনপ্রিয়তা। ঈশা গুপ্তা, নেহা শর্মার মতো তারকারা বড় ব্যানারের সিনেমা ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের উপস্থিতি বজায় রেখে হেডলাইন ও ব্র্যান্ড তালিকায় আছেন নিয়মিত।
সব মিলিয়ে প্রমাণিত, আজকের দিনে থিয়েটার ছাড়াও রিলেভেন্স সম্ভব। কারণ এখন তারকাখ্যাতি তৈরি হচ্ছে ফলোয়ার আর এনগেজমেন্ট দিয়ে, সিনেমার স্ক্রিনিং বা বক্স অফিসের হিসেব দিয়ে নয়।
এসএম