মৃত্যু যে তাকে থামাতে পারেনি, তা আবারও প্রমাণ করলেন সংগীত জগতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসন। মৃত্যুর প্রায় ১৬ বছর পরও সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী মৃত তারকার শিরোপা যে তার দখলেই রয়েছে, তা নতুন করে জানাল বিখ্যাত আর্থিক সাময়িকী ফোর্বস। শুধু তাই নয়, জীবিত কোনো তারকাও তার আয়কে ছুঁতে পারেননি ২০২৪ সালে।
ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে মাইকেল জ্যাকসনের আয় দাঁড়িয়েছে ছয়শো মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে দাঁড়ায় কয়েক হাজার কোটি টাকা! এই বিপুল অর্থের বড় অংশ এসেছে তার গান ও অ্যালবামের লাইসেন্স এবং স্ট্রিমিং থেকে। পাশাপাশি ‘এমজে’ নামের বায়োপিকের স্বত্ব বিক্রি করেও বিশাল অঙ্কের অর্থ এসেছে জ্যাকসন পরিবারের ঝুলিতে।
তার এই আয়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, টেলর সুইফটের আয় চারশো মিলিয়ন ডলার, কিংবদন্তি ফ্রেডি মার্কারির আয় আড়াইশো মিলিয়ন ডলার, এমনকি হলিউডের সুপারস্টার টম ক্রুজ ও বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের আয় যথাক্রমে পঁচিশ ও বিশ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জীবিত তারকাদের আয়ও ছাপিয়ে গেছেন প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসন।
২০০৯ সালে অতিরিক্ত প্রপোফল প্রয়োগের কারণে মৃত্যুবরণ করেন জ্যাকসন। চিকিৎসক কনরাড মারেকে ২০১১ সালে এই মৃত্যুর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর করুণ ঘটনার পরও থামেনি জ্যাকসনের প্রভাব আর জনপ্রিয়তা। মৃত্যুর পর থেকে এ পর্যন্ত তার মোট আয় দাঁড়িয়েছে তিনশো বিশ কোটি ডলার!
‘জ্যাকসন ফাইভ’ থেকে শুরু করে ‘থ্রিলার’— তার প্রতিটি সৃষ্টি আজও সমান জনপ্রিয়। সংগীতপ্রেমীরা এখনও মুগ্ধ হয়ে শুনছেন তার গান। সেই চাহিদাই ধরে রেখেছে তাকে আয়ের শীর্ষে।
বছরের পর বছর ধরে ভক্তদের মনে ‘কিং অব পপ’-এর অমর স্থান নিশ্চিত করে দিয়েছেন মাইকেল জ্যাকসন। প্রমাণ করে দিয়েছেন, কিংবদন্তিরা কখনো মরে না—তারা শুধু তালিকার শীর্ষে রাজত্ব করেন চিরকাল।
এসএম/টিকে