শ্রীলঙ্কার মাটিতে আগেও বাংলাদেশ দলের বেশ কিছু সুখস্মৃতি আছে। বিশেষ করে গল স্টেডিয়ামে। ২০১৩ সালে এই ভেন্যুতেই মুশফিকুর রহিম নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ওই ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৬৩৮ রান। চলমান গল টেস্টের প্রথম দিনেও ভালো অবস্থানে রয়েছে টাইগাররা। সেঞ্চুরির পর অপরাজিত রয়েছেন মুশফিক এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশও ৩ উইকেটে ২৯২ রান তুলেছে।
শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক অপরাজিত আছেন ১০৫ রানে। এই দুজনের কেউ ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারবেন কি না সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, ‘কন্ডিশন–উইকেট সব পারফেক্ট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। তবুও প্রতিটা বল যত্ন নিয়ে মনোযোগ দিয়ে খেলতে হয়। যেখান থেকে শেষ করলাম এটা ভালো লাগার বিষয়, সেখান থেকে ভালোভাবে আবার শুরু করতে পারলাম। চেষ্টা থাকবে নিজেরটা (ইনিংস) যেন আরও বড় করতে পারি। শান্ত যেহেতু এখনও ২০০ করেনি, সে করতে পারলে ২০০–২৫০ যেটাই হোক সেটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে।’
শ্রীলঙ্কার উইকেট ও কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে আগে থেকেই লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের মানসিকতা ছিল বলে জানান মুশফিক, ‘গলে এটা আমার তৃতীয় টেস্ট মনে হয়। প্রতিবারই ভালো উইকেট পেয়েছি। শ্রীলঙ্কা হয়তো অন্য দলের বিপক্ষে এখানে টার্নিং পিচ বানায়। আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন হয়েছে। এখানে বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট। অন্তত প্রথম ২ দিনে। ব্যাটার হিসেবে আমরা এটা জানতাম। ফলে সেট হলে বড় রান করতে হবে, এসব নিয়ে কথা বলেছি আমরা। ২০১৩ সালে আমি এবং আশরাফুল ভাই একসঙ্গে সারাদিন ব্যাট করেছিলাম। তাই আমি শান্তকে বলে গেছি যে আমাদের সারা দিন ব্যাট করতে হবে। কত রান হচ্ছে সেসব ব্যাপার না, আমাদের লম্বা সময় ব্যাট করে যেতে হবে।’
আবারও ডাবল সেঞ্চুরির চিন্তা আছে কিনা মুশফিক বললেন, ‘কেউ আসলে (আগে থেকে) চিন্তা নিয়ে ২০০ করে না। চিন্তা থাকে যেন বড় জুটি গড়তে পারে দলের জন্য। শুরুতে ২০ রান, ৫০, ১০০, ২০০ এভাবে। হ্যাঁ সুযোগ আছে। কালকে নতুন দিন। আজকে নতুন বল ১০ ওভার হয়েছে শুধু। গলে যতদিন যেতে থাকে ততই উইকেট কঠিন হতে থাকে। শুরুতে ভালো স্কোর দরকার, যেন ওদের চেয়ে অন্তত ৮০-১০০ রান এগিয়ে থাকতে পারি তাহলে বড় প্লাস পয়েন্ট হবে। কালকে প্রথম ঘণ্টা অনেক জরুরি। তখন ভালো করতে পারলে ইনশাআল্লাহ উইকেট আরও বেটার হবে ব্যাটিংয়ের জন্য।’
পিএ/টিএ