ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের বৈঠক নিয়ে দ্বিধা-জটিলতা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সম্প্রতি একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকটি পাকিস্তানেরজন্য একদিকে যেমন কূটনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিত বহন করছে, অন্যদিকে তেমনি ফেলেছে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি। খবর বিবিসির।

বুধবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সরকারিভাবে একটি ‘সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ হিসেবে প্রচার করা হলেও, বিশ্লেষকরা জানান, এর রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি জটিল।

বিশেষ করে যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানবিরোধী অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে।

পাকিস্তান সব সময়ই ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে। এমনকি ইসরায়েলের কার্যক্রমকে প্রকাশ্যে ‘নির্মম’ বলেও উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানবিরোধী মনোভাব এবং ইসরায়েলপ্রীতি পাকিস্তানের জন্য তাই এক প্রকার নীতিগত দ্বিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে পাকিস্তান ইরান থেকে প্রায় তিন হাজার নাগরিককে ফেরত আনতে একটি জটিল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এ পটভূমিতে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠতা কী ধরনের বার্তা দিচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে।

দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি গণমাধ্যমের উপস্থিতি ছাড়াই সম্পন্ন হয়। বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারি বিবৃতি সীমিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে যখন এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠতে থাকে, তখন মুখপাত্রের কিছুটা অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

সবচেয়ে জোরালো প্রশ্ন ছিল, বৈঠকে কি কোনো বেসামরিক রাজনীতিক উপস্থিত ছিলেন? প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক কাঠামো নিয়েও।

উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ‘পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।’ তবে তিনি বৈঠকের বিস্তারিত জানতে সাংবাদিকদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এই মন্তব্য আরও স্পষ্ট করেছে যে, বৈঠকটি মূলত সেনাবাহিনীর উদ্যোগেই হয়েছে এবং এতে বেসামরিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

এফপি/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মাস্কের শতকোটি ডলার বিনিয়োগে লাফিয়ে বাড়ছে টেসলারের দাম Sep 17, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে ২৭ হাজার ভোটারের বিপরীতে প্রার্থী ১০৮৮ Sep 17, 2025
img
সালমান-আমিরের উচ্চতা প্রসঙ্গে হৃতিকের কটাক্ষ Sep 17, 2025
img
এনসিপির জন্য প্রতিদিনই হতাশার খবর আসছে : মোস্তফা ফিরোজ Sep 17, 2025
img
জয়ে নির্ণায়ক ভূমিকা রাখা বোলারের প্রশংসায় তামিম Sep 17, 2025
img
বন্ধ মিটারেও বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা! Sep 17, 2025
img
খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Sep 17, 2025
img
এই প্রথমবোরের মতো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর অনুমতি দিলেন ট্রাম্প Sep 17, 2025
img
একীভূত হচ্ছে পাঁচটি ব্যাংক, অনুমোদন চূড়ান্ত Sep 17, 2025
img
সহকারী শিক্ষকদের কার্যক্রমে মাউশির নতুন নির্দেশনা Sep 17, 2025
img
জামালপুরের ইউএনও’র ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি, থানায় জিডি Sep 17, 2025
img
অস্কারের দৌড়ে ইরানের নতুন চলচ্চিত্র Sep 17, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, বাড়বে তাপমাত্রা Sep 17, 2025
img

শিক্ষা উপদেষ্টা

ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশ-কুয়েত বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে বৈঠক অনুষ্ঠিত Sep 17, 2025
img
গাজায় ভয়াবহ হামলা, আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছাড়ছে হাজারো ফিলিস্তিনি Sep 17, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার অবস্থান ২৫তম Sep 17, 2025
পাকিস্তান ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় - কে এই হানিয়া আমির? Sep 17, 2025
img
এআই ট্রেন্ডে গা ভাসালেন আলিয়া Sep 17, 2025
img
মেসির গোলে স্বস্তির জয় ইন্টার মায়ামির Sep 17, 2025