ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী তার পছন্দের অভিনেতা আরিফিন শুভর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ভক্তদের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেনভক্তদের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাস্তবে এমন কিছু সম্ভব নয়।
'কাজলরেখা' সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় পা রাখা মন্দিরার সঙ্গে আরিফিন শুভর জুটি বেঁধে প্রথমবার কাজ করার সুযোগ হয় 'নীলচক্র' সিনেমায়। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে।
সিনেমার প্রচারেও নায়ক-নায়িকার খুনসুটি চোখে পড়ে, যা তাদের জুটির প্রতি ভক্তদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তোলে।
আরিফিন শুভর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় বর্তমানে তিনি একাকী জীবনযাপন করছেন। এ কারণে 'নীলচক্র' দেখার পর বহু ভক্ত-অনুরাগী পর্দার এই মিষ্টি জুটিকে বাস্তবেও এক হওয়ার পরামর্শ দিতে শুরু করেন। এমনকি মন্দিরার কান পর্যন্তও ভক্তদের এই ইচ্ছের কথা পৌঁছেছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মন্দিরা। তিনি বলেন, "আমার জীবনের দ্বিতীয় সিনেমা এটা। কিন্তু এতটা আলোড়ন আগে কখনো দেখিনি। যত প্রমোশন করেছি, যত ছবি শেয়ার করেছি—সব জায়গাতে কমেন্টে একটাই কথা ঘুরে ফিরে এসেছে, আপনারা বিয়ে করে ফেলুন!"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "প্রতিটা পোস্টে একের পর এক এমন মন্তব্য দেখে ভেবেই পাই না, দর্শক সত্যি কি চাইছেন আমরা বিয়ে করি? আমাদের জুটিকে তারা এতটা ভালোবেসেছেন যে, ব্যক্তিগত জীবনেও এক হতে দেখার স্বপ্ন দেখছেন!"
তবে ভক্তদের এই ইচ্ছা বাস্তবে পূরণ হচ্ছে না জানিয়ে মন্দিরা স্পষ্ট বলেন, "শুভ ভাই একজন অসাধারণ শিল্পী।
আমি তার অভিনয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম— ভাবতাম মানুষ এত নিখুঁত অভিনয় করে কিভাবে? কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু (বিয়ে) সম্ভব নয়।"
শুভ সম্পর্কে মন্দিরার ভাষ্য, শুভ ভাই ভীষণ আন্তরিক মানুষ। একই সঙ্গে খুবই পরিশ্রমী ও সহযোগিতাপরায়ণ। তা ছাড়া শুভ ভাই আমার ক্রাশ। যেহেতু তিনি আমার পছন্দের মানুষ, তাই শুটিংয়ের শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলাম।
ভাবছিলাম, অভিনয়ে পেরে উঠব কি না। দিন শেষে অভিনয়ের প্রশংসা প্রচুর পেয়েছি। ছবি মুক্তির পর দর্শক অভিনয়ের জন্য আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তা মাথায় তুলে রাখতে চাই।
যদি শুভর দিক থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্দিরা বলেন, ‘‘আমি জানি না আমি করবো? এ রকম কি হওয়ার চান্স আছে? আমার মনে হয় না। সে আমার খুব ভালো কলিগ। বন্ধুও বলা যেতে পারে। এ রকম কোনো প্রশ্ন আসেনি। যদি এরকম কোনো মোমেন্ট বা সিচুয়েশন আসেও তাহলে আমার কী বলতে হবে, তা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। নাও বলতে পারি আবার হ্যাঁও বলে দিতে পারি।’’
পিএ/টিএ