লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনের সব হিসাব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেছেন, গত ১০ মাস ধরে সরকারের যে ধারাবাহিকতা ছিল, সরকারের যে এটেনশন ছিল, এগ্রি ছিল, ডিসগ্রি ছিল, এবং সরকারের যে নোট অফ ডিসেন্ট ছিল পুরো জিনিসটি এলোমেলো হয়ে গেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যারা বন্ধু তারা দূরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর সেই জায়গাতে বিএনপির সভাপতির এগিয়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) ইউটিউব চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, এই বৈঠকের এখন পর্যন্ত এক সপ্তাহ শেষ হয়নি -আমি ভিডিওটি যে সময়টিতে করছি- এই এক সপ্তাহের মধ্যে যে সম্ভাবনাগুলো অনিবার্য ছিল অর্থাৎ বিএনপির সঙ্গে সরকারের বন্ধুত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমান সাহেবের লেনাদেনা এবং রাজনীতিতে প্রাপ্তি উভয়ের জন্যই প্রাপ্তি, সেই জায়গাগুলোতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে এবং নানা রকম গল্পগুজব এবং সমীকরণে পুরো বৈঠকটি উভয় পক্ষের জন্য বুমেরাং হওয়ার মতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আপনারা জানেন, এই বৈঠকের তিনটি পার্ট ছিল। প্রথম পার্ট হলো, জনাব তারেক রহমান সাহেব তার বাসা থেকে গাড়িতে করে হোটেল পর্যন্ত এলেন।
দ্বিতীয় পার্ট হলো, গাড়ি থেকে তিনি হোটেল লবি হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রুমে ঢুকলেন। তারপর আবার সেই বৈঠক শেষে তিনি আবার গাড়িতে উঠলেন। এর আরেকটি অংশ হলো, যৌথ বিবৃতি। যৌথ বিবৃতি মানে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং নিরাপত্ত উপদেষ্টা জনাব খলিলুর রহমান তারা যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা একটা অংশ।
এর বাইরে এক্সক্লুসিভলি আরেকটি অংশ হলো, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমান সাহেবের দেড় ঘণ্টাব্যাপী একান্ত বৈঠক ক্লোজডোর বৈঠক। এই তিনটি অংশ আগামী দিনে রাজনীতির জন্য একটা যেভাবে শুভপরিণয় বয়ে নিয়ে আসতে পারে। একইভাবে আবার মহা কেলেঙ্কারি ঘটার সম্ভাবনা বেশি দেখা দিয়েছে।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, সেই কারণে আমি লন্ডন গেট শব্দটি ব্যবহার করেছি। লন্ডন গেট কেলেঙ্কারি শব্দটি ব্যবহার করিনি।
যারা ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি সম্পর্কে জানেন তারা তো জানেন। এর সঙ্গে এই লন্ডন গেটের কী সম্পর্ক রয়েছে সেটা বলব। আর যদি এটা লন্ডন গেট কেলেঙ্কারি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কি কি হতে পারে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তার আগে ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি নিয়ে একটু সংক্ষেপে বলে নেই।
টিকে/টিএ