মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি বোতলে করে সমুদ্রে চিঠি পাঠিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের অ্যালায়না স্টিফেন। ঠিক ৩১ বছর পর সেই চিঠির উত্তর এলো নরওয়ে থেকে, যা দেখে চমকে গেছেন তিনি। খবর বিবিসি
১৯৯৪ সালে স্কুলের পানির প্রকল্পে অংশ নিতে গিয়ে অ্যালায়না একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে নিজের নাম, বয়স, ঠিকানা এবং বার্তাটি খুঁজে পাওয়া ব্যক্তি যেন তার সম্পর্কে কিছু জানায়, এই অনুরোধ ছিল। চিঠিটি একটি খালি ‘মোরে কাপ’ বোতলে ভরে অ্যালায়নার শিক্ষকের স্বামী সমুদ্রে ফেলে দেন।
এত বছর পর সেই বোতল গিয়ে ভেসে উঠে নরওয়ের ‘লিসশেলোয়া’ নামের একটি ছোট দ্বীপে। সেখানে সৈকত পরিষ্কার করার সময় বোতলটি খুঁজে পান জার্মানির ‘পিয়া ব্রডম্যান’, যিনি চার মাসের জন্য সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
পিয়া অ্যালায়নার ঠিকানায় একটি পোস্টকার্ড পাঠান। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি তোমার বোতলের চিঠিটি পেয়েছি। আমি ২৭ বছর বয়সী এবং পাহাড়ে ওঠা ও পালতোলা নৌকায় ঘুরতে পছন্দ করি।’
অ্যালায়না বলেন, ‘আমি তখন বাকিতে থাকতাম, এখন আবার বাবা-মায়ের সঙ্গে একই পুরনো ঠিকানায় ফিরে এসেছি। হঠাৎ এমন একটা পোস্টকার্ড পেয়ে খুব অবাক হয়েছিলাম।’
পরে অ্যালায়না সামাজিক মাধ্যমে পিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং চিঠির একটি ছবি চান। ছবি দেখে তিনি বিস্মিত, চিঠিটি এখনো পরিষ্কার ও পড়ার মতো ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি চিঠিটি লেখার কথা মনে রাখতে পারিনি, কিন্তু মোরে কাপ বোতলের কথা মনে আছে। এখন পিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে, আশা করি এটা আরও এগোবে।’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর এক চমকপ্রদ বন্ধুত্বের শুরু হলো এক বোতলের ভেসে আসা বার্তায়।
কেএন/টিকে