শিশু সুরক্ষা কর্মীরা মেয়ে শিশুদের দাসত্ব এবং যৌন কাজে লাগানোর এ প্রথাটির নিন্দা জানিয়েছে।
দক্ষিণ নাইজেরিয়াতে পাঁচ বছরের কম বয়সী মেয়েরা এখনও বিক্রি হচ্ছে। টাকার জন্য মেয়ের বাবা-মায়েরা তাদের মেয়েদের বিয়ে দেন। তারা এটিকে সন্তানের ঋণ শোধের অংশ হিসেবে দেখেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে শিশু মিরাকলকে (৫) টাকার বিনিময়ে বিয়ে দেয়া হয়। তিনি এখন মিশনারিদের সাথে থাকেন। মিরাকেলের আগে তার বড় বোনকে এভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছিল। সে কিশোরী ছিল। সেই বোনটি মারা যাওয়ার পর মিরাকেলকে বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়।
রোজ ইনিয়েট নামে এক ভুক্তভোগী তরুণী জানান, আমি খুব ভাগ্যবতী। কারণ নয় মাস আগে আমি যৌন নিপীড়নের জীবন থেকে মুক্তি পাই।
তিনি আরও জানান, আমার সাত বছর বয়সে বাবা মারা যান। ১০ বছর বয়সে আমি সেই নিগৃহীত জীবন থেকে মুক্ত হই।
অ্যানোমেটোপে ইচাইল এক স্থানীয় নেতার দাবি, এই ধরণের কর্মকাণ্ড এখানে নিষিদ্ধ। এই সংস্কৃতি নব্বইর দশকের দিকে বন্ধ হয়েছে। এখন টাকা দিয়ে বউ বা দাসী কিনবে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
রিচার্ড আকনম নামের এক মিশনারি নিজেকে নির্যাতিতা মেয়েদের উদ্ধারে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। নয় বছরে তিনি ২১ তরুণীকে মুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, বিক্রি হওয়া খুব কম মেয়েদেরকেই তাদের দাসত্ব জীবন থেকে মুক্ত করা যায়।
এদিকে বিভিন্ন সংগঠণ নির্যাতিতাদের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসছে এবং এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলছে।