নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। কোচ গৌতম গম্ভীরের টেস্ট সফরটা এখনও পর্যন্ত ভালো কাটেনি। সমস্যা অনেক, সমাধান কোথায়? ক্রিকেটভক্তদের হাজারও দোষারোপের মধ্যে গম্ভীর দলকে ‘রক্ষা’ করে চলেছেন। বলছেন, ‘আমরা একসঙ্গে জিতি, একসঙ্গে হারি’। কিন্তু তাতে কি কঠিন অঙ্কগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে?
লিডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পাঁচ-পাঁচটা সেঞ্চুরি করেছে ভারতীয় দল। কিন্তু তারপরও পাঁচ উইকেটে হার। লোয়ার অর্ডার রান পায়নি, একের পর এক ক্যাচ পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, বুমরাহ ছাড়া অন্য কোনও বোলারকে দেখে মনে হয়নি, যে কোনও মুহূর্তে উইকেট তুলতে পারেন। আর শুধু ইংল্যান্ড বলে তো নয়। আগের দুটো সিরিজেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমজনতা বুঝতে পারছে, গম্ভীরও বুঝছেন। কিন্তু উপায় কী?
তিনি বলছেন, “প্রত্যেকটা টেস্টের পর আমরা বোলারদের প্রশ্ন করতে পারি না। আমরা কি ওদের তৈরি করব? আমরা প্লেয়ারদের পাশে আছি। আমাদের ভালো পেস বিভাগ তৈরি করতে হবে।” ফিল্ডিং নিয়ে তার বক্তব্য, “বিশ্বের সেরা ফিল্ডাররাও ক্যাচ ফেলেছে। ব্যাটিংও হতাশাজনক। যদি প্রথম ইনিংসে ৬০০ করতে পারতাম, তাহলে আমাদেরই কর্তৃত্ব থাকত। আমাদের লোয়ার অর্ডার ভালো খেলতে পারেনি বলে হেরেছি, এমনটা নয়। আমরা একসঙ্গে জিতি, একসঙ্গে হারি।”
তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াল? বোলারদের পাশেও আছেন, আবার নতুন পেস বিভাগ তৈরি করতে হবে। দুটো একসঙ্গে কীভাবে হবে? পরের টেস্টে কি শার্দূল ঠাকুর বাদ পড়বেন? অনেক কিছু করলে অনেক কিছুই হতে পারত। ৬০০ রান যখন হয়নি, তখনই বা ইংল্যান্ডের উইকেট ফেলতে কী পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল? ‘একসঙ্গে জিতি, একসঙ্গে হারি’ বলে আবেগ উসকে দেওয়া যায়, সিরিজে কি কামব্যাক হবে?
আরআর/এসএন