মহামারির পর বলিউডে একের পর এক হিন্দি রিমেক মুক্তি পেয়েছে। কখনও হরর, কখনও অ্যাকশন, আবার কখনও আবেগঘন গল্প—সব মিলিয়ে বক্স অফিসে রিমেক ছবির চল এখনও থামেনি। যদিও প্রত্যেক ছবির ফলাফল একরকম নয়, তবু কিছু ছবি সফলতার মুখ দেখেছে, যার সর্বশেষ উদাহরণ ‘সিতারে জামিন পার’।
ট্রোল ও নেতিবাচক আলোচনার মধ্যেই ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছে আমির খানের এই নতুন ছবি। শুরুতে যে প্রশ্ন উঠেছিল ছবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে, তা এখন মুছে যাচ্ছে হলে ভিড় দেখে। প্রথম দিনে ‘সিতারে জামিন পার’ আয় করেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপি—যা ‘লাল সিং চাড্ডা’র সমান, অথচ এই ছবিতে নেই বড় কোনও তারকাভিত্তিক কাস্টিং কিংবা বিপুল প্রচারণা। তবুও আমির খানের ওপর দর্শকদের আস্থা যেন অটুটই রয়েছে।
মহামারির পর হিন্দি রিমেক ছবির প্রথম দিনের আয়ের তালিকায় শীর্ষে আছে ‘শয়তান’ (১৫ কোটি টাকা), এরপর ‘দৃশ্যম ২’ (১৪ কোটি ৯২ লাখ), ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ (১৩ কোটি ৪১ লাখ), আর ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ (১৩ কোটি ৩৯ লাখ)। এই তালিকায় ‘সিতারে জামিন পার’ ষষ্ঠ অবস্থানে, তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—‘লাল সিং চাড্ডা’র মতো একই পরিমাণ আয় করেও এই ছবির প্রেক্ষাপট ও ভাবনা দর্শকদের হৃদয়ে বেশি জায়গা করে নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেগঘন গল্প, পরিবারকেন্দ্রিক থিম এবং উইকেন্ডে হলমুখী দর্শকের চাপ এই ছবিকে শক্ত ভিত দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রচারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ছবির বিষয়বস্তু। প্রচারের ঝলকানি না থাকলেও সঠিক সময়ে মুক্তি এবং সামাজিক বাস্তবতার ছোঁয়া দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘সিতারে জামিন পার’ হয়তো বক্স অফিসে ঝড় তোলেনি, তবে এটা প্রমাণ করেছে—ভালো গল্প এখনো হল অবধি টেনে আনে দর্শককে। আর রিমেক ঘরানা এখনো শেষ হয়নি, বরং তা নতুন রূপে পথ খুঁজে নিচ্ছে।
এসএম/টিকে