হরমুজ প্রণালী কারণে অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়েনি : অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি ব্যবসায়ীদের আমাদের ওপর মোটামুটি আস্থা আছে। সেটা আরও বেশি কীভাবে আনা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। আর বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হরমুজ প্রণালীর কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি।

আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের আস্থা আরও বেশি কীভাবে আনা যায় আমরা দেখব। মোটামুটি ব্যবসায়ীদের আস্থা কিন্তু আছে। আমরা যখন ফরেন এক্সচেঞ্জ ওপেন করি (ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া) তখন আমাদের অনেক টেনশন ছিল, হঠাৎ কী হয়। পাকিস্তানের মতো হয়ে গেলে তো আমাদের জন্য বিপদ। কিন্তু সেটা হয়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, অর্থনৈতিক সংস্কার রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। রাজনীতি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এমন কিছু ঘটে যায়নি যে এখন হবে না। এখন তো মোটামুটি এগ্রিড একটা সময় আসছে ইলেকশনটা কখন হবে। সবাই মোটামুটি সন্তুষ্ট, সবাই সন্তুষ্ট। এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা...। ওরা চিন্তা করছে, বাইরে থেকে কথা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে হবে কি না। আমরা তো বলছি হবে। আমি যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে যাই, তখন আমাকে এ প্রশ্ন করেছিল।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগটা এখন স্লো আছে। ওরা লক্ষ্য করছে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্থিতিশীলতার জন্য। এখন তো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটু বেড়ে গেছে। অতএব মোটামুটি আমাদের দেশে রেগুলেটরিটি বিষয়টা ঠিক থাকলে ডেফিনেটলি বিনিয়োগ বাড়বে।

বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্রয় কমিটির বৈঠকে গম কেনা হয়েছে। ফরচুনেটলি গমের দাম কমে গেছে। এই কেনাকাটায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চাল-গমের যে রিজার্ভ আছে সেটা এখনো সন্তোষজনক। তবুও আমরা বলেছি ৫০ হাজার টন গম এনে রাখার জন্য। যাতে খাদ্যের কোনো শর্টেজ না হয়।

তিনি বলেন, হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল সেটা যুদ্ধ বন্ধের পর কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রিটেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মিনিস্ট্রির একটা ক্রেডিট। মরক্কো, তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না।

 
পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিচ্ছেদ হয়নি, আমাদের কিছু পারিবারিক সমস্যা চলছে : কনার স্বামীর ফেসবুক পোস্ট Jun 26, 2025
img
‘আমার ধারণা, শেষ পর্যন্ত আমাদের ইরানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে' Jun 26, 2025
img
টঙ্গীতে কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ Jun 26, 2025
img
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেএমপি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানাল বিএনপি Jun 26, 2025
img
জনগণকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভুয়া সতর্কবার্তা দিল ইসরায়েল Jun 26, 2025
img
এনসিসির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিল ঐকমত্য কমিশন Jun 26, 2025
img
উপদেষ্টা আসিফকে ক্ষমা চাইতে হবে: ইশরাক Jun 26, 2025
img
কণ্ঠশিল্পী কনার বিচ্ছেদ, খোঁচা দিলেন ন্যান্সি Jun 26, 2025
img
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৭ Jun 26, 2025
img
ঝিনাইদহ সীমান্তে ১৩ জনকে আটক করল বিজিবি Jun 26, 2025
img
কলম্বোতে ডাক মেরে ইতিহাস গড়লেন এনামুল Jun 26, 2025
img
বরিশালে বিপিএল হলে দ্বিগুণ লাভ হবে ক্রিকেট বোর্ডের: মিজানুর রহমান Jun 26, 2025
জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির Jun 26, 2025
‘আমার ছবিতে জুতা মারা, ১ কোটি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?’ Jun 26, 2025
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করায় ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন Jun 26, 2025
img
'যুদ্ধে ইরান ঐশ্বরিক বিজয় পেয়েছে’ Jun 26, 2025
img
৫ আগস্টের পর কারখানা বন্ধের পেছনে বর্তমান সরকার দায়ী নয়: ড. সাখাওয়াত Jun 26, 2025
img
বিরোধী মত সহ্য করতে না পারা সরকার অগণতান্ত্রিক-জালিম সরকার: গোলাম পরওয়ার Jun 26, 2025
img
নাবিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল Jun 26, 2025
img
বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে কণ্ঠশিল্পী কনা জানালেন ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছা’ Jun 26, 2025