দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে : ডা. শফিকুর

সাম্য, ইনসাফ ও বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আর্তমানবতার কল্যাণ ও দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর কাফরুলে কাফরুল থানা জামায়াত আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘ্ন হয়নি বরং আমাদেরকে চড়ামূল্যে কিনতে হয়েছে। এ আন্দোলনে দু'হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সব সমস্যার সমাধান করবে। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।

আরএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পঞ্চায়েত সিজন ফোর: নির্বাচনের ছাপ ফুলেরার সরলতায় Jun 26, 2025
img
আল নাসরেই থাকছেন রোনালদো! Jun 26, 2025
দেবের বিপরীতে দেখা যাবেনা তাসনিয়া ফারিনকে Jun 26, 2025
img
শুরু হলো ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা Jun 26, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ২০ মাসে ৩৫ হাজার হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ Jun 26, 2025
img
শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন পরীক্ষার্থীরা Jun 26, 2025
img
নেতানিয়াহুকে ‘মহান নায়ক’ বললেন ট্রাম্প Jun 26, 2025
img
১০০ বছরের স্বপ্ন, ১০ বছরের পরিকল্পনা, পোলো খেলতে গিয়েই থেমে গেল সঞ্জয়ের জীবন Jun 26, 2025
img
কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নিহত ১৬ Jun 26, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতেই রোজা শুরুর সম্ভাবনা, জানাল আমিরাত Jun 26, 2025
img
বিদায় অনুষ্ঠানে অশালীনতা, কলেজ ক্লাসরুমে ধোঁয়া ও নাচানাচি Jun 26, 2025
img
গাছের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের Jun 26, 2025
img
ব্রিজটাউন টেস্টের প্রথম দিন শেষেই পড়ল ১৪ উইকেট Jun 26, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষার দুটি কেন্দ্র আজ পরিদর্শন করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা Jun 26, 2025
img
সাইয়ারা’র সুরেই বলিউডে ঝড় তুললেন দুই নবাগত Jun 26, 2025
img
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইন্টার মিলান Jun 26, 2025
img
ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, বললেন ট্রাম্প Jun 26, 2025
img
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল মণি রত্নমের ‘ঠগ লাইফ’ Jun 26, 2025
img
হজ শেষে ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজির দেশে ফেরা সম্পন্ন Jun 26, 2025
img
জেনে নিন আজকের বাজারের স্বর্ণ ও রুপার দাম Jun 26, 2025