সেলিব্রেটিদের হরেক রকমের শখ তাকে। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর শখ পুতুল সংগ্রহ; এটি তার নেশার পর্যায়ে চলে গেছে। আর তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য নানা ধরনের পুতুল। পুতুল-পুতুল গড়ন হলেও চেনা পুতুলের থেকে অনেকটা আলাদা ‘লাবুবু’। আসলে সে দৈত্য। বড় বড় চোখ, খরগোশের মতো কান ও তীক্ষ্ণ হাসি। চেহারায় বার্বি তো বটেই টেডির থেকেও যোজন দূরে।
ঋতাভরী সম্প্রতি ট্রেন্ডে গা ভাসাতে ‘লাবুবু’ সংগ্রহ করছেন, তেমন নয়। নিজের পুতুলপ্রেম আর ‘লাবুবু’ সংগ্রহের কথা অভিনেত্রী নিজেই জানালেন একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে পুতুলের প্রতি আকর্ষণ থেকেই তিনি পুতুল সংগ্রহের নেশায় মেতেছেন।
প্রাথমিকভাবে চীনের বাজারে পাওয়া যায় এই ‘লাবুবু’ পুতুল। এই 'লাবুবু' পুতুলের দাম ৪০ হাজার টাকা। বিদেশের দোকানগুলোতে এই পুতুল কেনার হিড়িক পড়ে যায়। মূলত জেন জি-দের মধ্যে এই ‘লাবুবু’ নিয়ে মাতামাতি হয়। এই পুতুল আসলে এক দৈত্য। তবু জনপ্রিয়তায় নাকি সব পুতুলকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে সে।
এ মুহূর্তে ঋতাভরী প্যারিসে রয়েছেন। এমনিতেই মিনিয়েচার শিল্পের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। সারা বিশ্বজুড়ে ‘লাবুবু’ পুতুল নিয়ে যে উন্মাদনা চলছে, তা জানেন তিনিও। কিন্তু এক দৈত্যাকার পুতুলের প্রতি হঠাৎ কেন এত ভালোবাসা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ঋতাভরী বলেন, আমি বহু বছর ধরে ‘পপ মার্টে’র পুতুল সংগ্রহ করছি। এখন দেশি-বিদেশি তারকারা এ পুতুল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছবি শেয়ার করে নিচ্ছেন। এরপরই এ পুতুল কেনার হিড়িক পড়ে যায় বাজারে।
অভিনেত্রী বলেন, মানুষ সব সময়ই ‘ট্রেন্ড’-এ গা ভাসাতে পছন্দ করেন। তিনি নিজে অবশ্য গত সাত বছর ধরেই এ সিরিজের পুতুল কিনছেন। একটি ঘরভর্তি এই সিরিজের পুতুলে। তিনি বলেন, এক-আধটা নয়, যখন কেনেন, পুরো এক সেট পুতুল কেনার চেষ্টা করেন। সে ক্ষেত্রে দাম খুব একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
ঋতাভরী বলেন, কোনো উপার্জনক্ষম প্রাপ্তবয়স্কের যদি শখ থাকে, তা হলে এটা কেনা তেমন বড় বিষয় নয়। এ সিরিজের বার্বির দাম প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা। তবে অন্য পুতুলগুলো ২-৩ হাজারেও পাওয়া যায়।
কালেকশনে ঋতাভরীর ১০০টির বেশি পুতুল রয়েছে। যার বেশিরভাগই তিনি কিনেছেন সিঙ্গাপুর ও প্যারিস থেকে। এবার প্যারিস সফরের সময়ও ‘পপ মার্ট’-এর পুতুল কিনেছেন তিনি। তবে ‘লাবুবু’ কেনা হয়নি। অভিনেত্রী বলেন, আমি পুতুলপ্রেমী। আমার কাছে অনেক ধরনের পুতুল আছে, লাবুবুটা খুব মিষ্টি একটা দৈত্য। আসলে কিছু বড় ব্যাগের ব্র্যান্ড এদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারকাদের দিয়ে বিপণন করার পর এর বাজারদর বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমার অবশ্য ‘হিরোনো’কে বেশি পছন্দ। তবে এখন যে হিড়িক শুরু হয়েছে, তাতে সন্দেহ হয়, সবাই আদৌ পুতুল ভালোবেসে কেনেন কি না?
আরএম