সাই পল্লবীর নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক সহজ সরল অথচ মুগ্ধ করা অভিনয়শৈলী। দক্ষিণী সিনেমায় তিনি বরাবরই বেছে নিয়েছেন গল্পনির্ভর চরিত্র, তারকাখ্যাতির মোহে পড়েননি। চরিত্রে গভীরতা না থাকায় চিরঞ্জীবীর বিপরীতে ‘ভোলা শঙ্কর’ ছবির প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই একই সততা নিয়েই এবার সাই পল্লবী পা রাখছেন বলিউডে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি তার জন্য সঠিক সময়? কারণ এই অভিষেকও হচ্ছে একেবারে ভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে।
এই মুহূর্তে সাই পল্লবী কাজ করছেন দুটি হিন্দি ছবিতে। একটি বিশাল বাজেটের ‘রামায়ণ’, যেখানে রণবীর কাপুরের বিপরীতে দেখা যাবে তাকে। অন্যটি ‘এক দিন’, যেখানে তার সহশিল্পী আমির খানের ছেলে জুনায়েদ খান। তবে শুরুর ছবি হতে যাচ্ছে ‘এক দিন’। আর সেখানেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
‘এক দিন’ ছবিটি অনেকাংশেই নির্ভর করছে সাই পল্লবীর ওপর। কারণ জুনায়েদ এখনও বলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। তার আগের ছবি ‘মহারাজ’ এবং ‘লাভেয়াপা’ তেমন কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি। ফলে সাই পল্লবীর কাঁধেই ভর করবে দর্শক টানার দায়িত্ব।
যা আরও বড় সমস্যা, হিন্দি বলয়ে এখনও সাই পল্লবী খুব পরিচিত মুখ নন। আদর্শ পরিস্থিতি হতো, যদি তার অভিষেক হতো শক্তিশালী কোনো সহশিল্পীর সঙ্গে কিংবা বড় কোনো প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে, যা সহজেই দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করত।
‘এক দিন’ যদি যথাযথ প্রচার না পায় বা দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা না ছড়ায়, তবে শুধু ছবিই নয়, সাই পল্লবীর বলিউডে অভিষেকও হারিয়ে যেতে পারে।
তবে সাই পল্লবীর সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার সততা। তিনি গণপ্রিয়তার জন্য কৃত্রিম কিছু করেন না। তিনি ভালবাসা অর্জন করেন তার আবেগপ্রবণ অভিনয়, বেছে নেওয়া চরিত্রের দৃঢ়তা আর নাচ ও চোখে পড়ার মতো অভিব্যক্তি দিয়ে। এই শক্তিটাই এখন তাকে হিন্দি সিনেমার দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
‘এক দিন’ হয়তো বলিউডের জন্য সাই পল্লবীর সেই প্রত্যাশিত জাঁকজমকপূর্ণ প্রবেশ নয়। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এটাই তার সুযোগ। গল্প কতটা ছুঁতে পারে দর্শককে আর তারা সাই পল্লবীর অভিনয়কে কতটা গ্রহণ করেন, সেটাই ঠিক করবে এই সিদ্ধান্ত সঠিক কি না।
যদি সব ঠিকঠাক চলে, তবে ‘এক দিন’ হতে পারে বলিউডের দরজা খোলার সেই চাবি, যা সাই পল্লবীর অভিনয়কে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
এফপি/ টিকে