‘সিকান্দার’ ছবিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর এবার সম্পূর্ণ নতুন পথে পা বাড়াচ্ছেন বলিউডের তারকা সালমান খান। তিনি এবার অভিনয় করতে যাচ্ছেন এক সত্যিকারের সেনানায়কের চরিত্রে — দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করা বীর যোদ্ধার গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন চলচ্চিত্র।
২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই যুদ্ধনির্ভর চলচ্চিত্রের পরিচালনায় থাকবেন অপূর্ব লাখিয়া। ছবিটি শুধু যুদ্ধ নয়, বরং ভারতের বীর সেনাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা জানাবে। এটি ‘ভারতের সবচেয়ে নির্ভীক’ শীর্ষক জনপ্রিয় গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত।
এই প্রথমবার সেনাবাহিনীর পোশাকে এবং এক বাস্তব চরিত্রে দেখা যাবে সালমান খানকে। তিনি পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন কর্নেল বিকুমল্লা সন্তোষ বাবুর চরিত্র — যিনি ১৬ বিহার রেজিমেন্টের নেতৃত্বে গালওয়ান সংঘর্ষে শহীদ হয়েছিলেন। সালমানের দীর্ঘ চলচ্চিত্রজীবনে এটি এক বড় রূপান্তর হিসেবে ধরা হচ্ছে।
চরিত্রের জন্য উপযুক্ত শারীরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে তিনি ইতিমধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন। প্রতিদিন প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে তাঁর কঠোর অনুশীলন। শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য সার্কিট অনুশীলন, উচ্চতা সহনশীলতা, অক্সিজেন চেম্বারে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কৌশলগত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, লাদাখের উচ্চতায় যুদ্ধের দৃশ্য শ্যুট করতে হলে তাঁকে থাকতে হবে পুরোপুরি সক্ষম ও ফিট।
পরিচালক অপূর্ব লাখিয়ার তত্ত্বাবধানে ছবির প্রস্তুতি পর্যায় প্রায় শেষের দিকে। জুলাই মাসে মূল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে এবং আগস্ট থেকে শুরু হবে শ্যুটিং। শ্যুটিং হবে লাদাখের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে। ছবির চূড়ান্ত নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে সালমানের এই নতুন চরিত্রে অভিনয় নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহের পারদ ক্রমেই চড়ছে।
তবে এটি কেবল আরেকটি যুদ্ধের ছবি নয়। এটি সাহসিকতা, মানবিকতা এবং কৌশলের গল্প। ভারত-চীন সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র এবং সেনানায়কদের আত্মবলিদানকে ঘিরে তৈরি হবে এই চলচ্চিত্র। সালমান খানের এই বয়সে এমন চাহিদাপূর্ন চরিত্র গ্রহণের জন্য তাঁর আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধই উঠে আসে স্পষ্টভাবে।
সালমান খানের এই নতুন যাত্রা শুধু বিনোদন নয়, বরং এক সত্যিকারের বীরত্বের কাহিনি বর্ণনা করবে, যা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এমন গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেবে আসল বীরত্ব কাকে বলে।
আরআর