পর্দা ও পর্দার বাইরের ভিন্নতায় সবসময়ই আলোচনায় থাকেন অভিনেত্রী রুনা খান। অভিনয়ের সাবলীলতায় যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনি ব্যক্তিত্ব ও উপস্থিতির সাহসী প্রকাশে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীদের। এবার তিনি নজর কাড়লেন তুরস্ক ভ্রমণের ভিন্ন রূপে।
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী নানা গুণে অনন্য। রিলস হোক বা রিয়েল লাইফ সবখানেই তার উপস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে। পর্দার বাইরে সাহসী ফ্যাশন সেন্স আর ব্যক্তিত্বপূর্ণ প্রকাশে বেশ দাপট দেখিয়ে আসছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়শই ঝড় তোলেন তার স্টাইলিশ ও সাহসী উপস্থিতিতে।
এই মুহূর্তে ছুটির মুডে থাকা রুনা খান অবস্থান করছেন দেশের বাইরে। কিছুদিন আগে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এবার উড়াল দিয়েছেন তুরস্কে। সেখানকার দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ানো ও ফ্যাশনভিত্তিক কিছু ছবি ইতোমধ্যে আলোড়ন তুলেছে অনুরাগীদের মাঝে।
সম্প্রতি তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তানবুলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে তাকে। সেই সফরের কিছু মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সাহসী ও নজরকাড়া পোশাকে দেখা মিলেছে তার। লাল রঙের স্লিভলেস গাউনে, চোখে সানগ্লাস আর পায়ে স্নিকার্স পরে নানা ভঙ্গিমায় ছবি তুলেছেন এই অভিনেত্রী।
এইসব ছবি নিয়ে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র হলেও অনেকেই প্রশংসা করেছেন তার আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতির। কেউ বলেছেন ‘রুনা খানের মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে পারাটা সাহসিকতার ব্যাপার।’
এছাড়াও তিনি গিয়েছেন তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক প্রাসাদে। দেখে এসেছেন বিখ্যাত সুলতান সোলায়মানের হেরেমখানা। সেখানে পরনে ছিল কালো পোশাক। সেখানেও ধরা দিয়েছেন একেবারে অন্য এক লুকে।
সব মিলিয়ে রুনা খানের এই তুরস্ক সফরে অনুরাগীরা দেখেছেন এক ঝলক ভিন্ন রুনাকে। তার ভ্রমণ ও ফ্যাশনের দাপট বলে দিচ্ছে, ছুটির দিনগুলো তিনি কাটাচ্ছেন দারুণ আনন্দে ও আত্মপ্রকাশে।
সম্প্রতি রুনা খানকে দেখা গেছে ঈদে মুক্তি পাওয়া নির্মাতা অমিতাভ রেজার ওয়েব সিরিজ বহেমিয়ান ঘোড়া-তে। সেখানে তার অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকমহলে। এছাড়াও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পাপ কাহিনী ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্টাইল ও উপস্থাপনায় ভিন্নতা এনে রুনা খান বারবার প্রমাণ করছেন, তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী নন একজন স্টাইল আইকনও। তার সাহসী ও স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিমা বাংলা বিনোদন অঙ্গনে এনে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।
আরআর
