রাজনীতির জটিল টানাপোড়েন, আবেগে মোড়া গ্রামীণ গল্প আর সাবলীল অভিনয়ে আবারও মন জয় করে নিয়েছে পঞ্চায়েত সিজন ৪। তবে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে এবার আর শুধু সিরিজের কাহিনি নয়, আলোচনা চলছে এক অন্য প্রান্তে—এই সিজনের জন্য কে কত টাকা পারিশ্রমিক পেলেন? প্রিয় ফুলেরা গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন যেমন দর্শকের চোখে বাস্তব, তাদের আয়ও এখন চর্চার কেন্দ্রে।
এই সিজনে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন সচিববাবু—অর্থাৎ অভিনেতা জিতেন্দ্র কুমার। প্রতি এপিসোডে ৭০ হাজার টাকা এবং ৮ এপিসোডে মোট ৫.৬ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে সিরিজের প্রাণ হিসেবে তার এই মূল্যায়নকে দর্শকরাও স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী হচ্ছেন নীনা গুপ্তা, অর্থাৎ আমাদের পরিচিত ‘প্রধানজী’। তিনি প্রতি এপিসোডে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা, যার মোট অঙ্ক দাঁড়ায় ৪ লক্ষ টাকা। কঠিন আর কোমল রসায়নে মেশানো তার চরিত্র ফুলেরার নারী নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সিরিজের আরেক স্তম্ভ রঘুবীর যাদব (পুরুষ প্রধান) পেয়েছেন প্রতি এপিসোডে ৪০ হাজার, মোটে ৩.২ লক্ষ টাকা। প্রাধান্যের দোলাচলে থাকা এই চরিত্রটি যেমন হাসায়, তেমনি আবেগেও ছুঁয়ে যায়।
প্রহ্লাদ পান্ডে চরিত্রে ফয়সাল মালিক এবং বিকাশ শुक্ল চরিত্রে চন্দন রায়—এই দুই জনপ্রিয় মুখ পেয়েছেন সমান পারিশ্রমিক। প্রতি এপিসোডে ২০ হাজার, সব মিলিয়ে ১.৬ লক্ষ টাকা। এই দুই বন্ধুর হাসি-কান্নার গল্পেই যেন সিরিজের মূল আবেগ গাঁথা।
তবে মূল চরিত্র রিঙ্কি (সানভিকা), খুশবু (ত্রিপ্তি সাহু), ভূষণ, ক্রান্তি দেবী, বিনোদ বা এমএলএ চন্দ্রকিশোর সিংয়ের মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের পারিশ্রমিক এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে তাঁদের স্ক্রিন টাইম ও গল্পে গুরুত্ব বিচার করে ধারণা করা যাচ্ছে, পারিশ্রমিকের পরিমাণ মাঝামাঝি পর্যায়ে হতে পারে।
এই সিজন দেখিয়ে দিয়েছে—সহজ, আবেগঘন গল্প কখনোই পুরনো হয় না। বরং সময়ের সাথে সাথে তার কদর বাড়ে, আর সেই কদর এবার সরাসরি পৌঁছে গেছে ফুলেরা গ্রামের মানুষদের পকেটেও।
এসএন