ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে তিন দিন আগে মুক্তি পাওয়া বাংলা নাটক ‘মাটির মেয়ে’। নির্মাতা আর্থিক সজীবের নির্মাণে এবং সংবেদনশীল এক গল্পে নাটকটি ইতিমধ্যেই দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
২৫ জুন প্রিয়ন্তী এইচডি নামের ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তির পর তিন দিনে দেখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ বার! যেখানে মন্তব্য করেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। প্রায় সব মন্তব্যই ইতিবাচক।
জোবাইদা আক্তার নামের এক দর্শক লিখেছেন, ‘এককথায় নাটকটা অসাধারণ, আমার চোখে পানি চলে আসছে। মো. সোহান লিখেছেন, ‘সব ছেলে এক না রে বোন। শেষে তো কান্না করে দিছি, এমন মানুষ যদি সব ঠকে যাওয়া নারীর জীবনে আসত।’ খাদিজা লিখেছেন, ‘বুকের ভেতর চাপা কষ্ট, চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিছু বলার যেন ভাষা নেই।
মজহার ইসলাম লিখেছেন, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া নাটক। অন্য আরেকজন লিখেছেন,“মা সেতো মা ই, তামিম আপনি আসলেই বাবা- আসলে জম্ম দিলেই বাবা হওয়া যায় না। নাটকটা আমাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে।” সাফওয়ান লিখেছেন, “নাটকটা এতই সুন্দর চোখের পানি আর ধরে রাখা গেল না। সাথী আপু ও তামিম ভাইয়ার নাটক আরো চাই।”
হাসিনা আক্তার নামের আরেক দর্শক নাটকটি দেখে লিখেছেন, ‘কোনো দিন নাটক দেখে চোখে পানি আসে নাই। প্রথমবার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে। আমার এমন দুটি মেয়ে আছে, কারো জীবনে এমন কষ্ট দিয়ো না আল্লাহ।’ অন্য আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আমি একজন মা। আমি সত্যিই নাটকটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমি এক মুহূর্তের জন্য কান্না থামাতে পারিনি। সত্যিই নাটকটার কোনো তুলনা নাই, অসাধারণ হয়েছে।’
এমন আরো হাজার হাজার মন্তব্য চোখে পড়বে নাটকটির ইউটিউব লিংকে! নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শায়লা সাথী। এ ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন তামিম খন্দকার, ইন্তেখাব দিনার, সাবেরী আলম এবং শিশু শিল্পী ফ্রেয়াসহ অনেকে।
নাটকটি নিয়ে শায়লা সাথী বলেন ‘এই চরিত্রটি আমার কাছে শুধু অভিনয়ের সুযোগ ছিল না—এটা ছিল এক ধরনের আত্মানুসন্ধান। ১০৩ ডিগ্রি ও বাবার অসুস্থতা মাথায় নিয়ে আমি ‘মাটির মেয়ে’তে শুটিং করেছি ! আমি চেষ্টা করেছি বিপদে পড়া মেয়ের বাস্তবতা ফিল করতে, চোখের ভাষায়, হাঁটাচলায় সেই অনুভূতিগুলো ফুটিয়ে তুলতে। দর্শক যদি একটু থেমে চরিত্রটার কষ্টটুকু উপলব্ধি করেন—তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক।’
একটি সরল মেয়ের জীবনচক্র, বাস্তব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি আর মা ও মেয়ের যন্ত্রণা—সব মিলে দর্শকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে বলে মনে করেন নির্মাতা। অফট্র্যাকের গল্প হলেও স্ক্রিনপ্লেতে গতি এনে আধুনিক মেকিংয়ের ছোঁয়া আনা হয়েছে যেন মানুষ ভাবনার খাদে সহজে ডুব দেয়। এমনটাই জানালেন আর্থিক সজীব।
নির্মাতা বলেন, ‘এই নাটকটিতে আমি একজন সহজ-সরল মাটির মেয়ের জীবনের কষ্টগুলো তুলে ধরেছি, নাটকটিতে একাধিক মন্তাজের ব্যবহার করা হয়েছে, এটি একটি অফ-ট্রাকের সিনেমাটিক গল্প। এই গল্পে শায়লা সাথী দারুণ অভিনয় করেছেন, ‘মাটির মেয়ে’ মা ও মেয়ের ইমোশনাল বন্ডিং মানুষকে কাঁদাবে!’
ইউটি/এসএন