টালিগঞ্জে চরিত্র পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। তবে তরুণ অভিনেত্রী শ্রীলীলার ক্ষেত্রে একের পর এক ছবিতে যেভাবে পরিবর্তন ঘটছে, তা চোখে পড়ার মতো। আর প্রতিবারই তাঁর জায়গায় আসছেন এক নতুন মুখ — ভাগ্যশ্রী বরসে। প্রকাশ্যে হোক বা নীরবে, এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা এখনই ইঙ্গিত দিচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির এক নতুন পালাবদলের।
প্রথমেই আসে ‘লেনিন’ ছবির কথা, যেখানে রাজনীতি নির্ভর রোমাঞ্চে অভিনয় করছেন আখিল আক্কিনেনি। শুরুতে ছবির প্রধান নারী চরিত্রে ছিলেন শ্রীলীলা। শ্যুটিংয়ের মাত্র আট দিনের মাথায় তিনি সরে দাঁড়ান। কারণ হিসাবে বলা হয় সময়সূচি মিলছিল না। এরপরই মুখ্য চরিত্রে ঢুকে পড়েন ভাগ্যশ্রী বরসে।
পরবর্তী ঘটনা ‘কিংডম’ ছবিতে। বিজয় দেবেরাকোন্ডা অভিনীত এই ইতিহাস নির্ভর ছবির উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলীলা। কিন্তু শ্যুটিং শুরুর আগেই সেই চরিত্রে জায়গা পান ভাগ্যশ্রী। বড় বাজেটের এই ছবিতে এমন বদল স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনায় আসে।
তৃতীয় ঘটনা ‘অনগনগা ওকা রাজু’ ছবিতে। নাভীন পলিশেট্টির বিপরীতে শ্রীলীলা ছিলেন প্রথম পছন্দ। পরে সেই চরিত্রে নেওয়া হয় মীনাক্ষী চৌধুরীকে। যদিও এই বদল বেশ শান্তভাবে হয়েছে, তবুও পেছনের ধারায় এটি উল্লেখযোগ্য।
তবে সব ছবিতে এমন হয়নি। মহেশ বাবুর ‘গুন্টুর কারাম’ ছবিতে প্রথমে শ্রীলীলা ছিলেন পার্শ্বচরিত্রে। পরে পূজা হেগড়ে ছবিটি ছেড়ে দিলে তিনিই হয়ে যান প্রধান নারী চরিত্রে। এক কথায়, এই ছবিতে তিনি হারাননি বরং নিজের জায়গা শক্ত করেছেন।
বুঝে নেওয়া যাচ্ছে, এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান — সিথারা বিনোদন। এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, সময়সূচির জটিলতা, প্রযোজনার অভ্যন্তরীণ কৌশল এবং ভারসাম্য রক্ষা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এই মুহূর্তে শ্রীলীলা এখনও জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন। তিনি ব্যস্ত ‘ভগত সিং’ এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ নিয়ে। কিন্তু এই ফাঁকে ভাগ্যশ্রী বরসে চুপিচুপি নিজের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন। অন্যের না পাওয়া থেকে তিনিই আজ প্রাপ্তির মুখে।
ইন্ডাস্ট্রিতে একটিই কথা চলে, যে সময় ধরে রাখতে পারে, সেই ফ্রেমে জায়গা পায়।
এসএন