‘গুডাচারী’ এবং ‘মেজর’-এর সাফল্যের পর এবার একদম ভিন্ন রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন আদিভি শেশ। এবার তাঁর যুদ্ধে থাকবে না কোনো গুলি কিংবা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তাঁর নতুন ছবি ‘ডাকইত’-এ থাকবে রাগ, প্রতিশোধ আর এক গভীর, আবেগময় প্রেমের গল্প-যেখানে ভালোবাসা শুধু অনুভব নয়, রীতিমতো এক রণক্ষেত্র।
২০২৫ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে হিন্দি ও তেলুগু ভাষায় নির্মিত এই ছবিটি। আদিভি শেশ নিজে শুধু অভিনয় করছেন না, ছবির সহ-লেখক হিসেবেও আছেন, আর এতে যে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির ছাপ থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ছবির পরিচালনায় আছেন শানিল দেও, প্রযোজনায় সুপ্রিয়া ইয়ারলাগাডা ও অন্নপূর্ণা স্টুডিওস। শেশ জানিয়েছেন, চরিত্রের গভীরতা থেকে শুরু করে চিত্রগ্রহণ পর্যন্ত তিনি সবকিছুর তত্ত্বাবধান করছেন-কারণ এই গল্প একদম তাঁর মনের ভেতর থেকে উঠে এসেছে।
ছবির কেন্দ্রে থাকা প্রেম কোনো মিষ্টি রোমান্স নয়। এটি এমন এক প্রেম যা মানুষকে পালাতে শেখায় না, বরং যুদ্ধ করে যেতে শেখায়। শেশের কথায়, “আমার চরিত্র রেগে থাকে, কিন্তু তার ভালোবাসা এমন-যা হয় বদলায়, নয় বাঁচায়, নয়ত পুরোপুরি ভেঙে দেয়।”
এই গল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক মৃণাল ঠাকুর। ‘সীতা রামম’ কিংবা ‘হাই নান্না’তে তাঁর সংবেদনশীল উপস্থিতি যেভাবে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে, এখানেও তাঁর কোমলতা ও শক্তিশালী অভিনয় শেশের রাগী চরিত্রের এক বিপরীত মেরু হিসেবে কাজ করবে। রোমান্স, যা হবে আগুন ও কাঁচের মতো ভঙ্গুর, কিন্তু ততটাই তীব্র।
‘ডাকইত’ আসলে একটি আত্মিক যুদ্ধের ছবি। যেখানে আবেগই প্রধান অস্ত্র। এই ছবি হয়তো কাঁদাবে, হয়তো আঘাত করবে-তবে শেষমেশ এক চিরস্থায়ী প্রেমের অনুভব দর্শকের মনে রেখে যাবে। এটা এক নতুন আদিভি শেশ, এক নতুন প্রেমের ব্যাখ্যা-যা বলিউড বা তেলুগু ঘরানায় খুব একটা দেখা যায় না।
টিকে