দক্ষিণের চলচ্চিত্র জগতে এক নতুন আলোড়ন তৈরি করেছে নিতিন অভিনীত ছবি ‘থাম্মুদু’। প্রথমে যেটিকে ভাবা হয়েছিল একেবারে পরিবারকেন্দ্রিক বাণিজ্যিক বিনোদনমূলক ছবি, সেটিই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। কারণ, ভারতীয় সেন্সর বোর্ড এ ছবিকে দিয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য “এ” শংসাপত্র।
দর্শকরা অবাক, প্রযোজক দিল রাজু নিজেও কিছুটা ধোঁয়াশায়। কারণ তাঁর পরিচিতি বরাবরই পরিবারসম্ভাব্য ছবির প্রযোজক হিসেবে। এমনকি পরিচালক ভেনু শ্রীরামের কাজও পরিচিত আবেগ আর সামাজিক বার্তার জন্য। তবুও সেন্সর বোর্ডের মতে ছবির কিছু দৃশ্য এমন, যা সাধারণ বাণিজ্যিক বিনোদনের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
অফিসিয়াল ভাষ্যে কিছু বলা না হলেও শোনা যাচ্ছে, ছবিতে কিছু দৃশ্য খুব তীব্র আবেগ আর সহিংসতার রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে। বোর্ডের পর্যবেক্ষণে সেসব পরিণত সিকোয়েন্স দর্শকদের জন্য উপযুক্ত নয় বলেই এই রেটিং। ফলে যেটি তৈরি হয়েছিল পরিবার নিয়ে হলে যাওয়ার জন্য, সেটি এখন পরিণত হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক থ্রিলারের আলোচনায়।
দিল রাজুর জন্য এটি এক নতুন ধরনের জুয়া খেলা। তিনি এই ‘এ’ শংসাপত্র মেনে নিয়েছেন—যা নিজের দর্শকভিত্তির একটি বড় অংশ হারানোর ঝুঁকি। আবার এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন কৌতূহল। ঠিক কী এমন আছে ছবিতে? যে কারণে সেন্সর বোর্ড এতটা কঠোর হলো?
এর মধ্যেই বলা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ হয়তো তরুণ দর্শকদের মধ্যে ছবিটির প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেবে। বিশেষ করে অ্যাকশন আর গাঢ় থিম পছন্দ করা দর্শক খুঁজবেন সেই উত্তেজনা, যা সেন্সর বোর্ডের চোখে সীমা অতিক্রম করেছে।
৪ জুলাই মুক্তি পাবে ‘থাম্মুদু’। গ্রীষ্মের এই সময়ে একপ্রকার সারপ্রাইজ হয়ে দেখা দিতে পারে ছবিটি। বক্স অফিসে কি এই সাহসী পদক্ষেপ কাজ করবে? নাকি পরিবারকেন্দ্রিক দর্শক হারিয়ে বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়বে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে।
তবে এক জিনিস স্পষ্ট—‘থাম্মুদু’ আর সাধারণ বাণিজ্যিক ছবি নয়। এটি এখন পরিণত হয়েছে এক সাহসী পরীক্ষায়, যেখান থেকে হয় নতুন ইতিহাস তৈরি হবে, নয়তো শেখা যাবে বড় এক শিক্ষা।
এফপি/ টিএ