মুক্তির তারিখ ঠিক আছে, অথচ ছবির দল পুরোপুরি নীরব। এই অদ্ভুত পরিস্থিতি ঘিরে দক্ষিণী সিনেমা ‘ঘাঁটি’ নিয়ে দর্শক এবং ইন্ডাস্ট্রিতে জোর প্রশ্ন উঠেছে— ছবিটি কি শেষ মুহূর্তে আবারও মুক্তির দিন পিছিয়ে দেবে?
১১ জুলাই ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিক মুক্তি ঘোষিত হলেও ছবির প্রচারে নেই কোনো সরবতা। এখনো পর্যন্ত ট্রেলার প্রকাশিত হয়নি, নেই কোনো প্রি-রিলিজ অনুষ্ঠান। বড় কোনো সাক্ষাৎকার বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারও চোখে পড়ছে না। শুধুমাত্র একটি গান— ‘সেইলর’ প্রকাশ পেয়েছে, সেটুকুই অবধি।
এই নীরবতা বিস্ময় জাগিয়েছে ভক্ত ও সিনেমা-জগতের বিশ্লেষকদের মধ্যে। তারা বলছেন, মাত্র দশ দিনের মধ্যে কোনো ছবির জন্য উচ্চমাত্রার আগ্রহ তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে ‘মালিক’ এবং ‘সুপারম্যান’ এর মতো বড় বাজেটের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ‘ঘাঁটি’কে শক্ত প্রচারে নামতেই হতো।
ইন্ডাস্ট্রির ভাষ্য— যদি আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রচার শুরু না হয়, তবে মুক্তি পেছানো একরকম অবধারিত হয়ে যাবে।
‘ঘাঁটি’ ঘিরে প্রত্যাশা কম নয়। আনুশকা শেঠির দুই বছরের বিরতির পর এ ছবি দিয়ে তিনি ফিরছেন বড় পর্দায়। তার শেষ ছবি ‘মিস শেঠি মিস্টার পলিশেটি’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালে। অন্যদিকে পরিচালক কৃষ জাগারলামুডি তিন বছর পর নতুন ছবি নিয়ে আসছেন। তার শেষ ছবি ‘কোন্ডাপলম’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২১ সালে।
তবে আশঙ্কার জায়গা একটাই— ছবিটি ইতিমধ্যে একাধিকবার মুক্তির তারিখ পেছিয়েছে। ফলে এবারও দিন বদলের জল্পনা স্বাভাবিকভাবেই জোরাল হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির কয়েকটি সূত্র বলছে, যদি জুলাইয়ে না হয়, তাহলে আগস্টের শেষদিকে ছবি মুক্তি পেতে পারে। তবে তাতে দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
সব মিলিয়ে বড় তারকা ও পরিচালকের নতুন ছবি হয়েও ‘ঘাঁটি’ এখন এক অনিশ্চিত পথে দাঁড়িয়ে। যদি প্রচারে গতি না আসে, তাহলে শেষমুহূর্তে মুক্তি পিছিয়ে যাওয়া কিংবা দর্শকের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়া— দুটিই সম্ভবনা হিসেবে সামনে রয়েছে।
এফপি/ এসএন