বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজাদ সরকারকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার এক বছর পর মামলার প্রধান আসামি মো. মনির হোসেন মিঠু কাজীকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় বুধবার (২ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় এলাকার কাজী বাড়ির মৃত মেন্দু কাজীর ছেলে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা অবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে মিঠু কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ৪ আগস্ট বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে কুপিয়ে আহত করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিন পর নিহতের ছেলে আহম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে গত বছরের ১৪ আগস্ট ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০/২৫ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কাজী মনির হোসেন মিঠুকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন– ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী ও নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজী, মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন।
ইউটি/এসএন